সম্পাদনায়- আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: নিয়াজ একজন কন্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক। উনি ১০ বছর বয়সে আমেরিকায় চলে যান উনার মায়ের আচল ধরে, পড়াশুনা করতে। দুক্ষবসত, আমেরিকা যাওয়ার সাথে সাথেই তার বাবা মারা যান। জীবন যুদ্ধ শুরু হয় তার মায়ের সাথেই। নিউ ইয়র্কে হয় তার বড় হওয়া। কিন্তু, ছোটোবেলা থেকে তার ভেতর ছিল গানের আভাস। মাকে দেখতো শুনে শুনে গান গেতে এবং হারমোনিয়াম বাজাতে। আস্তে আস্তে সেও শুরু করে গান গেতে আর হারমোনিয়াম বাজাতে। আমেরিকায় এসে পড়াশুনার পাশাপাশি গানও চালিয়ে যান নিয়াজ। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৫ বছর বয়স থেকে। নিউ ইয়র্কের জীবনটা যখন কিছুটা বুঝে উঠা শুরু করে, তখনই তিনি দায়ীত্ব নেন সেই শহরের শান্তি এবং নিরাপত্না রক্ষন করার। নিয়াজ ২২ বছর বয়সে যোগ দেন নিউ ইয়র্ক শহরের পুলিশ ডিপার্টমেন্টে, পুলিশ অফিসার পদে। ২০ বছর ক্যরীয়ারের দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও গান থেকে সরে যাওয়ার কোন ইংগিত পাওয়া যায়নি নিয়াজের কাছ থেকে। ৩ টি এ্যালবাম বের হয়েছে তার আজ পর্যন্ত। এ্যলবামগুলো হলো ‘বসে আছি,’ ‘প্রিয়তমা শোনো,’ এবং প্রিয়তমা শোনো ২।’ প্রথম এ্যলবামটি বের করেন Sound Zone Records রেকর্ড লেবেল থেকে, এবং পরের দুটি বের করেন অগ্নিবীনা রেকর্ড লেবেল থেকে, বাংলাদেশ সংগীত জগতের কিংবদন্তি, কুমার বিশ্বজিতের সহজোগিতায়। এই ৩টি এ্যালবামের সব কথা, সুর, সংগীত, ভোকাল, rap, রেকর্ডিং, এবং মিক্সিং উনি নিজেই করেন নিউ ইয়র্কে, উনার ‘সাউন্ড জোন’ রেকর্ডিং স্টুডিওতে। এই ৩টি এ্যলবামের পর তিনি একটা একটা করে গানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং প্রতিটি গানের সাথে সাথে থাকছে একটা একটা করে মিউজিক ভিডিও। তিনি মনে করেন, “নতুন গান এবং মিউজিক কেউ আর শুন্তে চায়না। সবাই দেখতে চায়, কারন গান এখন একটা ভিজুয়্যাল জিনিস।” নিয়াজ গন মাধ্যমে অনেক অ্যাক্টিভ। গত পাচ বছর যাবৎ উনি তার ফেসবুকের ফ্যানপেজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালের নভেম্বার মাসে Niaz অবুঝ নামের সেই ফ্যানপেজ ভেরিফাইড হয়। নিয়াজ অনেক ভাল সম্পর্ক রাখেন তার ফলোয়ারদের সাথে উনার ভেরিফাইড ফ্যানপেজের মাধ্যমে। কে তার সংগীত জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা, জানতে চাইলে, এক কথায় উনি বলেন, “আমা মা। আমার মায়ের উদার ভালবাসা এবং সহজোগিতা ছাড়া গান কখনই করা সম্ভব হত না!” সর্বশেষে, গান নিয়ে উনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি, জানতে চেলে, উনি জবাব দেন, “আমি শুধু ভাল কিছু গান উপহার দিতে চাই সবাইকে। আর কিছুই না। দোয়া করবেন।”