শনিবার থেকে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এ ঘোষণা দিয়েছে। দুই পরাশক্তি ঐতিহাসিক এ ঘোষণা দিলেও ইসলামিক স্টেট ও আল নুসরা ফ্রন্ট যুদ্ধবিরতি করছে না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, ৫ বছর ধরে চলছে সিরিয়ার লড়াই। সেখানকার শীর্ষস্থানীয় বিরোধী গ্রুপ শর্তসাপেক্ষে সোমবারের ওই যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়। তবে এ যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইসরাইল। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগ টিকে থাকা নির্ভর করছে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ওপর। রাজধানী দামেস্কের কাছে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩৪ জন মারা যাওয়ার একদিন পরেই যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণা এলো। ওই হামলায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোকজন। যৌথ এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন ও মস্কো বলেছে, আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে দামেস্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এর ফলে আপাতত বন্ধ হবে সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী লড়াই, যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে অর্ধেক মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, যদি এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন হয় এবং মেনে চলা হয় তাহলে ভয়াবহ সহিংসতা বন্ধে এটা একটি শীর্ষ স্থানীয় ভূমিকা রাখবে। এ সময়ে বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছে দিতে হবে মানবিক ত্রাণ সহায়তা। একই সঙ্গে সিরিয়ার মানুষ পছন্দ করে এমন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সিরিয়ার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি যোশ আরনেস্ট বলেন, এটা একটি সুযোগ। আমরা আশা করছি সব পক্ষই এর সদ্ব্যবহার করবে। ওদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, দামেস্ক যাতে এ চুক্তির প্রতি সম্মান দেখায় তার জন্য যা করার তাই করা হবে। উল্লেখ্য, সিরিয়া নিয়ে আলাদাভাবে আকাশপথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই দুই পরাশক্তি। বলা হয়, রাশিয়া বোমা হামলা করছে বিদ্রোহীদের টার্গেট করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট হামলা করছে আইএসকে লক্ষ্য করে। তবে তাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাকে আশার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংকেত হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি সব পক্ষকে এ চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।