লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার করুনানগর এলাকায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সীমাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রাতে করুনানগরের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের স্বামী রোকন হোসেনের ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের ভগ্নিপতি মফিজুল ইসলাম জানায়, ৫ বছর আগে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার সফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার সীমার সাথে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের আবুল হাসনাতের ছেলে রোকন হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার দাবী করে আসছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও ফাতেমা আক্তার সীমাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো রোকন হোসেন। যৌতুকের টাকার জন্য রোববার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমা আক্তার সীমাকে বেদম মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে পালিয়েস যায় স্বামী রোকন। পরে রাতে তার কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের ভিতরে তার পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কবির আহমদ জানান, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। তদন্ত চলছে।