সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। আগামী ১৯শে মার্চ ঘোষিত তারিখেই যে কোন মূল্যে কাউন্সিল হবে বলে জানান তিনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, আগামী ১৯শে মার্চ বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবেই। সরকার কোন ষড়যন্ত্র করেই বিএনপির কাউন্সিল ঠেকাতে পারবে না। বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল সম্পর্কে রিজভী বলেন, যত বাধা বিপত্তি আসুক ১৯শে মার্চ বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল হবেই। কোনভাবেই আমাদের বিপদগামী করতে পারবে না, কাউন্সিল বন্ধ করতে পারবে না। শিক্ষায় দলীয়করণ সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মতো, একদলীয় শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ তিনিই বলেন, ৪১ শতাংশ শিক্ষক সৃজনশীল প্রশ্ন বোঝেন না, তাহলে এই অপদার্থরা এলো কোথা থেকে? বিএনপি এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের চাকরি বাঁচানোর জন্য বোবা-কালা হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের এবং গণমাধ্যমের কোন অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না। সরকারি দলের এ ধরনের অদ্ভুত, অভিনব, ভুতুড়ে কাণ্ডে নির্বাচন কমিশন তাদের সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিলর্জ্জতা এমন পর্যায়ে গেছে, তারা চোখ-মুখ বন্ধ করে ক্ষমতায় বসে আছেন। সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিজের আঁচলে বেঁধে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে। একেবারে উলঙ্গভাবে এ কাজটি করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ১৯শে মার্চ বিএনপি’র জাতীয় কাউন্সিলের ব্যাপারে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা তিন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। গণপূর্ত বলে, পুলিশ অনুমতি দিলে আমরা দিবো। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বলা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরে আছে। এই রকম একটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।