তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধীর ঘাতকদের শাস্তি শিথিল করতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার সরকার। এমনকি ওইসব অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টিও ভাবছে তারা। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কাজাঘাম (এআইএডিএমকে) সরকার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এতে বলা হয়েছে, তামিলনাড়–র মুখ্যসচিব কে জিনানাদেসিকান ২রা মার্চ ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষিকে চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, অভিযুক্তরা ২০ বছরের বেশি জেলে খাটছে। এখন তাদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। ঘাতকদের মধ্যে অন্যতম নলিনি। নিজের মুক্তি দাবি করে সে মাদ্রাজ হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেছে। রাজিব মেহর্ষি বলেন, অভিযুক্তরা এরই মধ্যে তাদের যাবজ্জীবন কারাদ-ের ২৪ বছর পার করেছে। তাই তাদের শাস্তি লাঘব করে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিয়েছে তামিলনাড়– সরকার। অভিযুক্ত এ সাতজন হলো ভি শ্রীহরণ ওরফে মুরুগান, টি সুতেন্দ্ররাজা ওরফে সান্তান, এজি পিরারিভালান ওরফে আরিভু, জয়াকুমার, রবার্ট পিয়াস, রবীচন্দ্রন ও নলিনি। এর আগে ২০১৪ সালে জে জয়ললিতা এ সাতজনকে মুক্তি দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে গিয়েই তা স্থগিত হয়ে পড়ে থাকে। রাজ্য সরকার রাজিব গান্ধীর মতো একজন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাকারীদের মুক্তি দিতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১শে মে চেন্নাইয়ের কাছে শ্রীপেরুমবুদুরে রাজিব গান্ধীর এক নির্বাচনী সমাবেশে এক আত্মঘাতী হামলাকারী হামলা চালিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এতে রাজিব গান্ধী ও অন্য ১৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে একটি বিশেষ আদালত নলিনিকে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু নলিনির মেয়ের কথা বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দেয়ার আবেদন করেন প্রয়াত রাজিব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। আদালত তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নলিনির শাস্তি লাঘব করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।