কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর এলাকার দোয়ারিয়া গ্রামে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ বিএনপির যোগদান সভা প- করে দেয়। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মিয়া বাদী হয়ে ২৯ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার উপজেলার পৌর এলাকার উজান দোয়ারিয়া গ্রামের বাসিন্দা পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জামান বিএনপিতে যোগদান করার জন্য তার বসতবাড়ির উঠানে মঞ্চ তৈরি করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান এবং দোয়ারিয়া গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় ২৭টি তোরণ নির্মাণ করেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে একই গ্রামের যুবলীগ নেতা রতন মিয়ার বাড়িতে একই দিনে একই সময়ে এক কর্মিসভা আহ্বান করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর প্রশাসন সভা করার পূর্ব অনুমতি না থাকার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উর্মি বিনতে সালাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম মোস্তফা কুলিয়ারচর থানা পুলিশের সহায়তায় সমাবেশস্থলে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশ করতে নিষেধ করেন। পরে পুলিশ লোকজন দিয়ে বিএনপির মঞ্চের কাপড়-চোপড় গুটিয়ে ফেলে এবং সমাবেশস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে।
সভা শুরুর নির্ধারিত সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভাস্থলে যেতে চাইলে দোয়ারিয়া বালুরটিলা এলাকায় পৌঁছা মাত্র রাস্তায় পুলিশ তাদের বাধা প্রদান করে। এসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শরীফুল আলম নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উর্মি বিনতে সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ করতে হলে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ সমাবেশের ব্যাপারে কোনো অনুমতি না নেয়ায় তাদের সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি।