ভারতের ক্রিকেটে আইপিএলের সেরা আবিষ্কার সুরেশ রায়না। ভারতের জাতীয় দলে এখন অপরিহার্য সদস্য তিনি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে তার বিকল্প নেই বললেই চলে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করার পাশারপাশি প্রয়োজনে দারুণ বোলিং করেন। কিন্তু কৈশরে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জানালেন। সম্প্রতি ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে লম্বা এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে তার শৈশব ও কৈশরের কথাই বেশি এসেছে। তখন তার বয়স ১৩ বছর। লখনৌ-এর একটি হোস্টেলে থেকে ক্রিকেট শিখতেন তিনি। সেখানে অনেক ভয়াবহ ঘটনা বয়ে যায় তার ওপর দিয়ে। একবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঝগড়ার রেশ ধরে এক সতীর্থ তাকে হকিস্টিক দিয়ে মারাত্মক পিটুনি দেয়। ওই ঘটনায় রায়না অনেক ভেঙে পড়েন। এছাড়া হোস্টেলে আরও কিছু কর্মকা-ে নিজের জীবনের ওপর ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠেন রায়না। এরই রেশ ধরে তখন আত্মহত্যা করতে উদ্যত হন বলে জানান রায়না। কিন্তু কিছুদিন পর ওই হোস্টেল ছেড়ে দেন তিনি। সেখানে মাত্র এক বছর ছিলেন তিনি। কিন্তু ওই এক বছর নানা ঘটনা তার জীবনে ঘটেছে বলে জানান রায়না। এক বছর পর আঞ্চলিক একটি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেয়ায় রেহাই পান তিনি। এছাড়া আরও কিছু ঘটনা বলেন রায়না। ১৩ বছর বয়সে একবার তিনি ট্রেনে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। ট্রেনেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বুকের ওপর প্রবল চাপ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় তার। চোখ খুলে অবাক হয়ে যান রায়না। তারচেয়ে বয়সে বড় হৃষ্টপুষ্ট একটি ছেলে রায়নার বুকের ওপর বসে তার মুখে মুত্রত্যাগ করছে। তখন ছেলেটিকে ধাক্কা নিয়ে ফেলে কোনো রকমে রক্ষা পান রায়না।