ভারতের তামিলনাড়ুতে ব্যাংকের লোন শোধ করতে না পারায় আত্মহত্যা করেছেন এক হতদরিদ্র কৃষক। আত্মহত্যাকারী ওই কৃষকের নাম জানা যায় নি। এ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন তামিলনাড়–র বিজয় মাল্য নামের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ব্যাংকের প্রায় এক কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ না করে দেশের আইনকে বৃধাক্সগুল দেখিয়ে পালিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআই এর তথ্যমতে, আত্মহত্যা করা কৃষকের বাড়ি তামিলনাড়–র আরিয়ালু জেলায়। চাষাবাদের জন্য তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ট্রাক্টর কেনার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সময় মতো তা পরিশোধ করতে না পারায় তার কাছ থেকে ট্রাক্টরটি ফেরত নেওয়া হয়। তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। কিছুদিন আগে তামিলনাড়–র থাঞ্জাভার জেলার আরেক কৃষক ট্রাক্টর কেনার জন্য ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়েছিলেন তার প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছিল। ফলে ব্যাংকের ঋণ উদ্ধারকারী দল (রিকভারি এজেন্ট) এবং পুলিশ উভয়ই তাকে বেদম প্রহার করে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এতে দেখা গেছে, কৃষক জিবালানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। জিবালান বলেন, ২০১১ সালে তিনি ট্রাক্টর কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ বাবদ প্রায় সাড়ে তিন লাখ রুপি নিয়েছিলেন, যা সুদসহ পরিশোধ করেছেন প্রায় সোয়া চার লাখ রুপি। জমিতে ফসল না হওয়ায় বাকি দুই কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। তার স্ত্রী বি কীর্তণা বলেন, বিজয় মাল্যদের মতো ধনী ব্যক্তিরা ঋণ খেলাপি হয়েও কোন শাস্তি পায় না আর তাদের মতো দরিদ্র কৃষক সামান্য ঋণের জন্য প্রাণ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এটা কোন বিচার । এএনআই বলছে, বস্তুত এই ঘটনাগুলি ভারতীয় কৃষী বিভাগের দুর্বলতাই প্রকাশ করছে । সামান্য কিছু ঋণ পরিশোধ করতে না পারার জন্য কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।