ব্যাট হাতে তার রাজত্ব আগেও দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। ছিল উত্থান-পতনও। কখনো ছন্দ হারিয়ে খুঁজে ফিরতেন নিজেকে। কখনো আবার ব্যাটকে বস মানাতে গিয়ে খেই হারাতেন। কিন্তু এই তামিম ইকবাল যেন নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন। ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা বইয়েই দিচ্ছেন রীতিমতো। বিপিএল থেকে শুরু। পিএসএলও মাতিয়ে এসেছেন বাঁহাতের তুরিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য হয়ে উঠেছেন যমদূত। প্রথম ম্যাচে ৮৩ রানের হার না মানা দুর্বার এক ইনিংস। পরের ৪৭ রানে থেমেছেন। আর ১৩ মার্চ ওমানের বিপক্ষে এসে ইতিহাসই গড়লেন ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ড্যাশিং ওপেনার। ৬৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে ১০৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেও অপরাজিত তামিম। এমন একটি ইনিংস খেলার পর বড় করেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। একই সঙ্গে কোচ চান্দিকা হাতুরসিংহেকে দেয়া কথা রাখতে পেরে রোমাঞ্চিত তিনি। সুপার টেন নিশ্চিত হওয়ার পর তামিম এ নিয়ে বলছেন, ‘কোচের সাথে কথা হয়েছিল সবার যে কে আগে সেঞ্চুরি করবে। বলেছিলাম আমিই আগে সেঞ্চুরি করবো। সৌভাগ্যবসত আজ হয়ে গেছে। এমন অনেক ওয়াদাই করি কিন্তু অনেক কিছুই হয় না।’ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করায় বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে যে হই হুল্লোর পড়ে গেছে তেমন নয়। তামিম বললেন, ‘দুই রান করে আসলে যেমন সাড়া পাই সেঞ্চুরি করে এসে তেমনই সাড়া পেয়েছি। আমি মনে করি এটাই হওয়া উচিত। একদম স্বাভাবিক ছিল। আর আমি মনেকরি ভালো খেললেও দলের সবাই যেভাবে সাথে থাকে শূন্য করলেও সেভাবে থাকবে।’