ফুটবলে টস তেমন গুরুত্ব বহন করে না কিন্তু ক্রিকেটে অনেক। পিচ ও কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে ব্যাট আগে কিংবা পরে করা ম্যাচ জয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্রিকেট ম্যাচের আগে যখন দুই অধিনায়ক মাঠে টস করতে নামেন তখন অধীর আগ্রহে থাকেন দর্শকরা। এখানেই যেন ম্যাচের অর্ধেক ভাগ্য। অনেকেই বলে থাকেন, টস জয় মানেই ম্যাচ জয়। টস জিতে নিজের ইচ্ছা মতো আগে ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং নেয়া যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার টসভাগ্য একেবারে বাজে। তিনি টস করতে নামলেই যেন হারেন। বিষয়টি নিয়ে মজাও করেছেন তিনি। বারবার টস হারতে হারতে ক’দিন আগে মজা করে বলেন, ‘নিজের বদলে অন্য কাউকে টসে পাঠালে হয়তো ভাল করবো আমি’। কিন্তু টস জেতা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে বুঝতে পেরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালার মাঠে বৃষ্টি প্রায়ই বাগড়া দিয়েছে। এই অবস্থায় টস হেরে আগে ব্যাটে যাওয়া ছিল মারাত্মক ঝ্ুঁকি। ওমানের বিপক্ষে সেই ঝুঁকিতেই পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত আগে ব্যাটে গিয়ে বেশি রান করায় বেঁচে যায় টাইগাররা। কিন্তু টসভাগ্য মোটেও কথা বলছে না মাশরাফির পক্ষে। সর্বশেষ চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হারেন মাশরাফি। এতে পাকিস্তান আগে ব্যাটে গিয়ে ২০১ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে। আর এই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৪৬ রান করতে পারে। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ টানা ৬ ম্যাচে টস হারলেন অধিনায়ক মাশরাফি। সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮শে ফেব্রুয়ারি টস জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও ভারত এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও ওমানের বিপক্ষে টস হারেন তিনি। আর সর্বশেষ টস হারলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে সুখের কথা হলো সর্বশেষ ৬ ম্যাচে টস হেরেও বাংলাদেশ জিতেছে ৩টিতে। শুধু এখন নয়, আগ থেকেই অধিনায়ক মাশরাফির টসভাগ্যটা খুবই বাজে। এ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশকে ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে টস জিতেছেন মাত্র ৭ বার। বিপরীতে হেরেছেন ১৩ বার। অন্যদিকে ক্যারিয়ারে ১৬০ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি দেশকে ২৮টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেখানেও একই অবস্থা তার। ২৮ ওয়ানডের ১৭টিতেই টস হেরেছেন মাশরাফি। আর টস জিতেছেন মাত্র ১১টিতে।