এমনিতে ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এর আগে কোন দলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫৬ রান করতে পারেনি। তাই টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের জয়ের বড় সম্ভাবনাই ছিল। তবে, শেষ অবধি সেটা হতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। আরও ভাল করে বললে, বাংলাদেশকে জিততে দেননি ওসমান খাঁজা। ৪৫ বলে এক ছক্কা আর সাত চারের ৫৮ রানের ইনিংসটা দিয়ে একাই ছিটকে ফেলেছেন বাংলাদেশকে। ফলাফল, পাকিস্তানের পর এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হারলো বাংলাদেশ। পরাজয়ের ব্যবধানটা তিন উইকেটের। তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞায় এমনিতেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এর সাথে ম্যাচের আগে ওপেনার তামিম ইকবালের জ্বর আর পেটের পীঁড়া সেই বিপর্যস্তা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। মুস্তাফিজুর রহমান অনেকদিন পর ফিরে চার ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। সাকিব চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটি। তবুও অস্ট্রেলিয়া সাত উইকেট হারিয়ে নয় বল বাকি থাকতেই পৌঁছে গেলো লক্ষ্যে। ম্যাচের শুরুতেও অবশ্য মাশরাফি বিন মুর্তজার মুখে হাসি ছিল না। এমনিতেই টসে হার, আবার ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সৌম্য সরকারের পতন। ২৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১২ রান করে ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান রুম্মানও। এরপরও যে দলের স্কোরটা ১৫৬-তে পৌঁছালো তার কৃতীত্বটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের। রিয়াদ ৪৯ ও সাকিব ৩৩ রান করে বাংলাদেশকে ধরে রেখেছিলেন ম্যাচে। অ্যাডাম জাম্পা ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। আর দিন শেষে জয়ী হয় এই জাম্পার দলই। তবে, এরপরও একটা ‘যদি’র অবকাশ থাকে। শেন ওয়াটসনের ক্যাচটা যদি মোহাম্মদ মিথুন না ফেলতেন, ১৮ তম ওভারে আল আমিনের হাত ফঁসকে যদি ক্যাচটা বের হয়ে না যেত, যদি সহজ রান আউটটা মুশফিক ঠিকঠাক করতে পারতেন, তাহলে হয়তো ম্যাচের ফলাফলটা ভিন্ন হলেও হতে পারতো! কিন্তু এই দিনটা যে বাংলাদেশের নয়!