স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে শুরুটা করেছিলো নিউজিল্যান্ড। এরপর তাদের স্বীকার অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ পাঞ্চাবে পাকিস্তানকে ২২ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যায়গা করে নিলো নিউজিল্যান্ড। রাতে পাঞ্জাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডে ছুড়ে দেয়া ১৮০ রানের জবাবে ২০ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিলো ৫ উইকেটে ১৫৮। কিউইরা সেমি নিশ্চিত করলে বিদায়ের শঙ্কা পাকিস্তান। বাংলাদেশকে হারিয়ে তাদের শুরুটা ভালো হলে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এ হারে সেমিফাইনালে আশা ফিকে গয়ে গেলো আফ্রিদী বাহিনী।
অথচ এদিন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিলো দারুন। সারজিল খান ও আহাম্মেদ শেহেজাদের ব্যাটে সাত ওভারে স্কোর বোর্ডে ৬০ রান জমাও করেছিলো তারা। নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ১৮১ টার্গেটে তখন পর্যস্ত মামুলিই মনে হয়েছে। তবে উদ্বোধনের শুরুটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। মিডলঅর্ডারের ভরাডুবিতেই ম্যাচটি তাদের হারতে হয়েছে ২২ রানে। এতে ভেস্তে গেছে সারজিল খানের ২৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের বিপক্ষে এ জয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে পৌছে গেলো নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে লড়াই করার মতো ইনিংস গড়েছে নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে ১৮১ রানের লক্ষ্য দেয় কেন উইলিয়ামসনের দল। মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গাপটিলের ব্যাটে দারুণ সূচনা করে নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান তোলেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। মোহাম্মদ ইরফানের করা অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিয়ামসন (২১ বলে ১৭) ক্যাচ আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। কলিন মানরোও (৭) দ্রুত ফিরে যান। তবে এক পাশে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন গাপটিল। ১৫তম ওভারে মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৮০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৮ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। পরে রস টেইলরের ২৩ বলে ৩৬ ও কোরি অ্যান্ডারসনের ১৪ বলে ২১ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় আগের দুই ম্যাচে জেতা নিউজিল্যান্ড।