টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অবসর নিবেন বলে আগে জানিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। তবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সুর পাল্টান পাকিস্তানের এ অলরাউন্ডার। পরিবার ও বন্ধুদের চাপে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করবেন বলে জানান তিনি। কিন্তু তার এই ইঙ্গিত ভালভাবে নেননি অনেকে। সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ ও রমিজ রাজা অবসরের সিদ্ধান্তে অটল থাকার পরামর্শ দেন। আফ্রিদির ধার শেষ হয়ে গেছে বলেই তাদের এই পরামর্শ। আর এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অবসর নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই আফ্রিদির। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান জানালেন, বিশ্বকাপের পর আফ্রিদির কাছ থেকে নেতৃত্ব নিয়ে নেয়া হবে। আর সে যদি অবসর না নেয় তাহলে দলে একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হবে কি-না তা নির্ভর করছে আফ্রিদির নৈপুণ্যের ওপর। এতে আফ্রিদির হয়তো অবসর নেয়া ছাড়া কোনো গতি থাকবে না। কারণ, নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া তার জন্য কিছুটা বিব্রতকরই হবে। এতে সময় থাকতে থাকতেই হয়তো তিনি বিদায় বলে দিবেন। আফ্রিদির জন্য পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচের পর। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ভারতের বিপক্ষে আগের ৪ ম্যাচই জয় ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এবার তারা হেরেছে স্বাগতিক ভারতের কাছে। এই হারের পর দলের মধ্যে একটা ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। অধিনায়ক আফ্রিদির বিরুদ্ধে নাকি উমর আকমলের অভিযোগ। তিনি আরও ওপরে ব্যাট করতে চান। কিন্তু আফ্রিদি তাকে ৪ কিংবা ৫ নম্বরে ব্যাটে নামান। বিষয়য়টি নিয়ে আকমল নাকি কিংবদন্তি ইমরান খানের কাছেও অভিযোগ করেছেন। এতে আফ্রিদি ও উমর আকমলের মধ্যে চলছে নিরব লড়াই। আর এরই মধ্যে আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়ে মন্তব্য করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান। বলেন, ‘আফ্রিদি বিশ্বকাপ পর্যন্তই অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগে এমনই কথা হয়েছে। ও বলেছে বিশ্বকাপের পরই অবসর নেবে। যদি আফ্রিদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে খেলা চালিয়ে যেতে চায় তাহলে ওকে এটাও ভাবতে হবে খেলোয়াড় হিসেবে ও দলে জায়গা পাবে কি না।’ শাহরিয়ার খানের এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেটে আফ্রিদি জামানা শেষের দিকে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুব স্বাভাবিক যখন দল বড় কোনো ম্যাচ হারে তখন সরাসরি তাঁর দিকেই আঙুল তোলা হয়। তবে এই সময় সবার সমর্থন দরকার তার। আফ্রিদি দেশের আইকন। আমাদের হয়ে অনেক ম্যাচও জিতেছে সে’। অন্যদিকে বিশ্বকাপের পর কোচ ওয়াকার ইউনুসের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে বলে ইঙ্গিত দিলেন শাহরিয়ার খান। বলেন, ‘এ ব্যাপারটি নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে। ওয়াকারের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি জুন পর্যন্ত। পুরো ব্যাপারটি আমি ওয়াসিম আকরাম ও আরও কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওরা বলছে- দেশি-বিদেশি কোনো ব্যাপার নয়। যে দলের জন্য ভাল করতে পারবে তাকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিৎ’।