*সালটা ২০০৯ কি ২০১০ হবে৷ স্কুলে পরতাম।কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর জিওসি ছিল মেজর জেনারেল হাফিজ। সেদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলাম খুব সকালে জিওসির বোন হাটতে বেরিয়েছিল,স্থানীয় কিছু লোক নাকি তাদের উত্যক্ত করেছে। এর মাঝে একজন নাকি তার বোনের ওড়না ধরে টান ও দিছে।আপু কি করল বাসায় গিয়ে ভাইয়ের কাছে সেই বিচার।
বিপরীতে ভাই কয়েক প্লাটুন সেনা সদস্য পাঠিয়ে দিল।মুহুর্তেই থাকে ধরে ফেলল।তার নাম ছিল কালু।
এমন ভাবে মারল স্পট ডেড।৫-৬ ঘন্টার মাঝেই সঠিক সাজা।কোন গণমাধ্যম সেদিন নিউজ কাভার করেনি।সামান্য ইভটিজিং এই জিওসি নিজের বোন এর জন্য এমন করল।
তাহলে আজ সেনানিবাস এলাকার ভিতরে এত বড় ঘটনা,যেখানে কিনা একটি মেয়েকে জীবন দিতে হল এর বিচার হচ্ছে না কেন??
কারণ সেদিনের ইভটিজার ছিল সাধারণ লোক,যাকে শাস্তি দিলে কাউকে জবাবদিহিতা করতে হবেনা।ইভটিজিং এর শাস্তি কিন্তু মৃত্যদন্ড হতে পারেনা। যাই হোক,আপনি জানেন কি আজকের খুনি সয়ং ক্যান্টনমেন্ট এর সেনা সদস্য। কেন আঙুল তুলে তাদের দেখালাম,চাইলে এক দিনেই তারা খুনিকে বের করে শাস্তি দিতে পারে,কিন্তু দিচ্ছেনা হয়তো নিজেদের নামটা প্রকাশ পেয়ে যাবে তাই।
জানতে চান সেদিন কি হয়েছিল??
তাহলে শুনুন…
যেই কালভার্ট নিয়ে এত কথা সন্ধ্যা থেকেই সেখানে ছিলেন সোহাগীর মা।কই তখন তো সেদিকে কেউই ছিল না।
রাত প্রায় ১০টা৷ সোহাগীর বাবা ফিরলেন বাসায়,এসে শুনলেন মেয়ে বাড়ী ফেরেনি৷ফোন ও বন্ধ।বের হয়ে গেলেন খুঁজতে। কালভার্ট এলাকায় আসতেই প্রথমে চোখে পড়ে সোহাগীর একটি জুতা।তার কিছুদূর যাওয়ার পর কিছু চুল।আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না,কেঁদে ফেললেন। মুহূর্তেই এমপি এসে হাজির,সেনানিবাস এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তার কাছে সাহায্য চাইলেন তার মেয়েকে খুঁজে দিতে। কিন্তু এমপি নাকি চুপ করেই ছিলেন।
# জানতে চাই এই চুপ করার মানে কি???যেখানে আমাদের কথা বলার চান্সই তারা কখনো দেয়না…
যখন মেরে ফেলা হল,তখন এমপি আসেনি,কিন্তু এখন খোজার সময় এত জলদি কোথা থেকে উদয় হলেন???কিছুদূরে সোহাগীর ফোনটি বাজছিল যা এতক্ষন অফ ছিল।
পরিশেষে পাশের একটি ঝোপের মাঝে উপুড় হয়ে থাকা সোহাগীর লাশ পাওয়া গেল।
খেয়াল করুন-
সেদিন হঠাৎ ক্যান্টনমেন্ট এর ২য় গেট বন্ধ কেন?
কালভার্ট থেকে কেন কিছুদূর পর পর এই আলামত রাখা হল?
এমপি চুপ করে থাকার রহস্য?
বিশেষত – যে এলাকায় লাশ পাওয়া গেছে সেখানে সোহাগী মারার তেমন আলামত পাওয়া যায়নি।কিন্তু কেন??
কারন সোহাগীকে এখানে ধর্ষনে করাও হয়নি এখানে মারা হয়নি। অন্যকোথা থেকে লাশ এখানে এনে রাখা হয়েছে।যেখানে ২-৩ মিনিট পর পর এমপি এফআই গাড়ী টহলে থাকে সেখানে সোহাগী কে ধর্ষন করে কতক্ষণে।
একটু ভেবে দেখুন ধর্ষনে কিন্তু কেউ মারা যায়না। যেমনি হোক বাঁচবে,কিন্তু ও মারা গেল কি করে,যা শুনেছেন সবই সাজানো কাহিনি।
সোহাগীর পুরো শরীরে নরপিশাচরা এতটাই আঘাত করেছে অতিরিক্ত মারের দাগ ছিল। নরপিশাচরা মাথার চুলে এতটাই টান দিয়েছে চামড়া সহ উঠে গেছে। যার ফলে কান নাক দিয়ে প্রচুর ব্লেডিং হয়েছে।কোন গলা কাটা ছিল না… না এবং না, সবকিছুর বিপরীতে সোহাগী আর নেই।
একটু ভেবে দেখুন হাফিজ সাহেবের বিচার,আর বর্তমান অবস্থা।
কেন এমন জানেন? আশা করি আর বলতে হবেনা,কেচো খুড়তে গিয়ে যে পরে সাপ বের হবে!! সেনা এরিয়ায় একটা মশা ঢুকতেও অনুমতি লাগে(!), আর এত বড় ঘটনা হবে কেউই দেখবে না এটা বিশ্বাস করতে পারছিনা!!
সেনা সদস্য কেউ করেছে কাজটা,সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যদি দোষ শিকার করা হয় মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করবে না তাই এমন নাটক সাজানো।বিচার হবে হয়তো তাদের আইনে কোর্ট মার্শাল হবে,যা আমরা কখনই জানবোনা।
আরও কি কুমিল্লা মেডিকেল থেকে লাশ নিয়ে আসার সময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ র্যাপ রির্পোট দিতে চায়নি।মামলা করার পর থেকে সোহাগীর বাবা কে হূমকি দেয়া হয়ে গেছে বেশ করেকবার।
পরিশেষে-এদেশে আন্দোলন করে লাভ নাই বিচার পাবনা।যেখানে সয়ং সেনাবাহিনী জড়িত সেখানে কিসের বিচার(?!)
যেখানে নিজের বোনের ইভটিজিং এর বিচার মৃত্যদন্ড,আর আমার বোনকে মারার পরেও চুপ করে বসেই থাকবে এই সেনানিবাস,সেখানে কাকে কি বলবেন।উচিত নিজে মরে যাওয়া।
তারা আমার চেয়ে অনেক দক্ষ,তাই বলে দিতে চাইনা কি করে শয়তান গুলোকে বের করবে।মনে রেখ- সিসিটিভি তে ঘেরা পুরো কুমিল্লা সেনানিবাস।
মনে রেখ- গণমাধ্যম প্রবেশ নিষেধ,তারা যে কিছু বের করবে সেও চান্স তারা দিবেই না।
তাহলে কে করবে এই বিচার????
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহানের (তনু) মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে বাসা থেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১১) একটি দল।
গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মুরাদনগর মির্জাপুরের বাসা থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিকেলের দিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও তাঁর বড় ভাইকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে নিয়ে যান।
আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তনুর চাচা আলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে লাইজু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ে। সে তনুদের বাসাতেই থাকে। দুজন একই কক্ষে থাকত। এখন আমার মেয়ের জন্যও ভয় করছে।’
এ ব্যাপারে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক খোরশেদ আলম বলেন, তনু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে গতকাল রাত ১১টার দিকে তনুর মা ও আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাঁদের ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের বাসায় রেখে আসা হয়েছে।
মির্জাপুরে তনুদের প্রতিবেশী হুমায়ুন কবির বলেন, গতকাল গভীর রাতে র্যাব আসায় তনুর পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে দুজন তাঁদের সঙ্গে র্যাব অফিসে যায়। সারা রাত সেখানে অবস্থানের পর আজ সকালে তাঁরা ফিরে এসেছেন।
আজ বিকেলে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে ছাত্র-জনতা।