প্রিয় নবীজি-র কিছু ব্যবহৃত জিনিসের স্মৃতি
সকল নবীর শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। মানবতা এবং আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি। এজন্য আজও পেয়ে যাচ্ছেন আল্লাহর সৃষ্ট সকল সৎ মানুষের শুভেচ্ছা, আশির্বাদ ও ভালবাসা। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে- ‘আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগনও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন, হে বিশ্ববাসীগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং তাঁকে উত্তমরূপে অভিবাদন করো ।’ মহান আল্লাহ তা’য়ালার অফুরন্ত করুণার অধিকারী এবং মানুষের জন্য অশেষ করুণার ধারক হয়েও তিনি কোনদিনই দেবত্বের দাবীদার হননি । সবসময় তিনি নিজেকে অতি সাধারণ মানুষ রূপে পরিচয় দিয়েছেন এবং সব মানুষকে দেখিয়ে গেছেন সহজ-সরল পথ । যে পথ সত্যপ্রিয় নর-নারীর সম্মুখে চিরদিনের জন্য উন্মুক্ত । আজ পৃথিবীর বুকে কোটি কোটি উম্মতের অন্তরে আল্লাহর অসংখ্য গুণগান, তার চির মাহাত্ম্য চিরদিনের জন্য অম্লান । যারা আল্লাহকে ভালোবাসেন আদম পিতা-মাতা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পদ, এমনকি তাদের জীবন অপেক্ষাও; সেসব মানুষের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই একমাত্র সত্যের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ । নবী কুলের শিরোমনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আসহাবে ফীলের বছর অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সুবেহ সাদেকের সময় মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর সম্মানিত পিতার নাম আবদুল্লাহ্,মাতার নাম আমিনা এবং দাদার নাম আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিম এবং নানার নাম ওহাব বিন আবদে মানাফ। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পঁচিশ বছর বয়সে চল্লিশ বছর বয়সী হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খাদীজা (রাঃ)-এর সাখাদীজা (রাঃ)-এর সাথে মহানবী (সঃ) নবুওয়াতপূর্ব দীর্ঘ পনের বছরসহ মোট পঁচিশ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি আর কোন বিবাহ করেন নি। তাঁর ইন্তেকালের পর তিনি অন্যান্য বিবাহ করেন।মহানবী (সঃ) নবুওয়াতপূর্ব দীর্ঘ পনের বছরসহ মোট পঁচিশ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি আর কোন বিবাহ করেন নি। তাঁর ইন্তেকালের পর তিনি অন্যান্য বিবাহ করেন।
এই যে সৃষ্টির সেরা মানুষ- হযরত মুহাম্মদ (সঃ), তাঁর জন্ম কোনো রাজমহলে নয়, জাগতিক বড় কোন কিছুকে কেন্দ্র করে নয়, কোন রাজা-বাদশার ঘরে নয় । এককথায় মরুর এক অনাথ এতিমরূপে এই মরু দুলালের শুভাগমন । তার এই জন্মধারাতেও রয়ে গেছে বড় এক রহস্য । যতদিন এ জগৎ আছে, যতদিন মানুষ আছে ততদিন এ রহস্যের উদঘাটন হতেই থাকবে । আসল কথা হলো- সব এতিমের তিনি সান্ত্বনা । বলা যায় তিনি শুধুমাত্র এতিমের বেদনারই সান্ত্বনা নন; তিনি সব যন্ত্রনারই সান্ত্বনা ।
আসুন আজ আমরা প্রিয় নবীজির ব্যবহারিত কিছু স্মৃতি সম্পর্কে জেনে ও দেখে নেইঃ