সমান সময় বা কোন কোন ক্ষেত্রে সমান কাজ করেও শুধু নারী হওয়ায় পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পান অনেক নারী। তারা বলছেন, শারীরিক শক্তি বিবেচনায় তাদের মজুরী নির্ধারণ করা হয় পুরুষের চেয়ে কম। আর কোন কোন ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয় পুরুষের সহযোগী হিসেবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম -ডব্লিউইএফ এর জরিপেও মজুরী সমতার দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা।
নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দূর করতে হবে নারীর প্রতি সব ধরণের বৈষম্য।
পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। সমান সময়, সমান খাটুনি। শুধু সমান নয় মজুরী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মজুরীর ব্যাপারে কিছুই জানেন না নারীরা।
দেশের অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সবখানেই পুরুষের সঙ্গে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। তবে কম পয়সায় বেশি শ্রম পাওয়ায় নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিতে আগ্রহ বেশি মালিকদের।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্রতিবেদনও বলছে, বাংলাদেশের পুরুষদের বছরে গড় আয় যেখানে ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, সেখানে নারীদের গড় আয় ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বৈষম্য দূর করতে তাই সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে সঠিক ভূমিকা পালনের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
নির্বাহী পরিচালক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, বর্তমানে সরকার নারীর প্রতি যে অঙ্গিকার বয়েছে নারী-পুরুষ সবই এক। সবার কাজের মূল্য সমান হতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপ বলছে, ২১৩৩ সালের আগে ঘুচবে না নারী-পুরুষের মজুরির ব্যবধান। অর্থাৎ মজুরিতে লিঙ্গ বৈষম্য বিলুপ্তির জন্য প্রয়োজন আরো ১১৮ বছর। তাহলে বাংলাদেশে এ ব্যবধান ঘুচবে কবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যম আয়ের দেশ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সরকারকেই নিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হলে, দূর করতে হবে সব ধরণের বৈষম্য।