শিশুবন্ধু খ্যাত জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে সহকর্মী, বন্ধু, স্বজনদের মাঝে। মানুষের জন্য কাজ করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন উপমহাদেশের প্রথিতযশা এই শিশু চিকিৎসক।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীতে দুদফা জানাজা শেষে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুরে তার মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
৮৮ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি শুধু একজন জনপ্রিয় চিকিৎসকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজসেবীও। দেশে শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ মানুষটির চিন্তা জুড়েই ছিল অপরের কল্যাণে কাজ করার অদম্য আগ্রহ। প্রতিষ্ঠা করেছেন হাসপাতাল, ট্রাস্টসহ বহু জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান।
জীবনের প্রায় পুরো সময়টা জুড়েই যিনি শিশুদের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছেন সেই শিশুবন্ধু এম এর খান বার্ধক্য জনিত রোগে চিরবিদায় নেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে নিজের গড়া হাসপাতালেই ত্যাগ করেন শেষ নি:শ্বাস। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তিটির মৃত্যুর সময় সেই হাসিই যেন অমলিন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায়- সেন্ট্রাল হসপিটালে অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। সকাল সাড়ে ১১টায়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে দুপুর ১২টার পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। পরে দাফন করা হবে তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়।