আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর

ইউনিয়নে মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার (ল্যাট্রিন)

নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনায় গ্রেফতার উপ-সহকারী

প্রকৌশলী এসএম আরিফ বিলাহ ডাকুয়া ও নলকূপ মেকানিক সাইফুল

ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ

ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. ওয়ালী উলাহ স্বাক্ষরিত এ

সংক্রান্ত একটি পত্র সোমবার বিকেলে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য অফিসে এসে

পৌঁছেছে।

গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের শৌচাগার (ল্যাট্রিন) নির্মাণে ঢালাইয়ের কাজে লোহার রডের

বদলে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের ঘটনা ৮ এপ্রিল রাতে স্থানীয় লোকজন ও

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

রংপুর বিভাগে কর্মরত উপ-পরিচালক জাকারিয়ার নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ

গত ১৩ এপ্রিল গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী

প্রকৌশলী আরিফ বিলাহ ডাকুয়া ও ঠিকাদার আবদুল খালেককে গ্রেফতার

করে জেলহাজতে পাঠায়। তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল

বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিলাহ ডাকুয়ার যোগসাজশে

ঠিকাদার আবদুল খালেক টয়লেট নির্মাণ কাজে অনিয়ম করার অভিযোগের

পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়ালী উলাহ স্বাক্ষরিত এ

সংক্রান্ত একটি পত্রে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। একই সাথে

গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নলকূপ মেকানিক সাইফুল

ইসলামকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের (রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়)

সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাদী হয়ে উপ-প্রকৌশলী আরিফ

বিলাহ ও ঠিকাদার আবদুল খালেককে আসামি করে গাইবান্ধা সদর থানায়

সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মেঘডুমুর সরকারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে শৌচাগার (ল্যাট্রিন)

নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদার আবদুল খালেক। কিন্তু

তিনি নির্মাণাধীন শৌচাগারে রডের বদলে বাঁশের চিকন কঞ্চি ও পুরান

বেঞ্চের ফ্রেম ব্যবহার করে।