মেয়েটির নাম ময়না, পিতাঃ মোঃ আরশেদ হাওলাদার, স্থায়ী ঠিকানাঃ সাং-বালিয়া, পোঃ মস্তফাপুর, থানা+জেলাঃ মাদারীপুর। মেয়েটির বাবা মাকে প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭/৮ মাস পূর্বে সাইদুল, পিতাঃ মোঃ ছাদের হাওলাদার সাং-বালিয়া, পোঃ মস্তফাপুর, থানা+জেলাঃ মাদারীপুর নামের একজন তাকে বিদেশে বিক্রি করে দেয়। তার সাথে জড়িত ছিল তার বড় ভাই সাহাবুদ্দিন, শাহ আলম এবং আলী হাওলাদার। ময়নার আজও কোন খোজ খবর নাই। তার বাবা মা তাকে সাইদুলের কাছে চাইতে গেলে সে তাদের মারধর করে। এবং কয়েকবার মারধর করেছে। ময়নার বাবা মা দরিদ্য হওয়ায় তাকে জানে মেরে ফেলার জন্য খুজছে সাইদুল বাহিনী। ময়নার বাবা মা এখন পলাতক রয়েছে তাদের ভয়ে। সাইদুল হাওলাদার সে একজন সন্ত্রাসী, নারী পাচারকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য । তারা কয়জন মিলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে । তারা শক্তিশালী সন্ত্রাস বাহিনী, ও লাঠিয়ান বাহিনী। মেয়েটির বাবা মা সাইদুল সহ সবার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-১, ঢাকা মানব পাচার পিটিশন মামলা ১৫/২০১৬ , মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন-২০১২ সনের ৬/৭/৮/১৪ ধারায় মামলা করিয়াছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর থানায় ২ টি চলতি মামলা রয়েছে মামলা দুটি হলো মামলা নং ১। মাদারীপুর সদর থানার এফ আই আর নং-২৭, তারিখ- ১৫ জানু, ২০১৬; জি আর নং-২৭/১৬, তারিখ- ১৫ জানু, ২০১৬; সময-২১.৩০ ঘটিকা ধারা- ১৪৩/১১৪/৩৫৪/৩০৭/৩২৬/৩২৫/৩২৩/৪৪৭ পেনাল কোড-১৮৬০; এই মামলায সে এজাহারে অভিযুক্ত এবং মামলা নং ২। মাদারীপুর সদর থানার এফ আই আর নং-১৮, তারিখ- ০৭ নভে, ২০১৫; জি আর নং-৬১২/১৫, তারিখ- ০৮ নভে, ২০১৫; সময- ১৬.৩৫ ঘটিকা ধারা- ১৪৩/১১৪/৪২৭/৩৮০/৩৭৯/৩০৭/৩২৬/৩২৫/৩২৩/৪৪৮/৪৪৭ পেনাল কোড-১৮৬০; এই মামলায় সে এজাহারে অভিযুক্ত । মোঃ সাইদুল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে চলতি ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকা সত্ত্বেও সে ২ (দুই) লক্ষ্য টাকা ঘুষ দিয়ে বালিয়া ০৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তাছাড়া বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নারী পাচার সংক্রান্ত নিউজ ছাপা হয়। যদি সে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করিয়া এবং নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য । তাছাড়া তার বিরুদ্ধে চলতি ৩ (তিন) টি মামলা থাকা সত্ত্বেও সে যদি চৌকিদারি চাকুরী পায় তাহলে সাধারন মানুষ সরকার এবং আইন রক্ষাকারী বাহিনী বা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। যদি মোঃ সাইদুল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে সরকার বা আইন আদালত বা সরকারী কর্মকর্তাগনের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকবে না। বিষয়টি সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক এবং তাহার বিরুদ্ধে উপরে উল্লিখিত ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।