লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশের নয়া রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে আজ তিনি করলেন মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি। লিস্ট এ’তে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের অধিনায়ক এদিন ১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই খুনে ইনিংস খেলেন। এখানেও হয়েছে ছক্কার রেকর্ড। গত বছর জানুয়ারিতে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির হয়ে লেজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১৪৬ বলে ১৫০ রানের ইনিংসে এনামুল হক বিজয় হাঁকিয়েছিলেন ১০টি ছক্কা। সেটাই ছিল লিস্ট এ’তে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। কিন্তু এদিন মাশরাফি তাকে টপকে গেলেন। এছাড়া ২০০৯ সালে জিস্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়াওয়েতে ৬৩ বলে শতক করেছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্রুততম সেঞ্চুরিতে এদিন তাকেও টপকে গেলেন মাশরাফি। মাশরাফির ইনিংসটি বাংলাদেশের মাটিতে তৃতীয় দ্রুততম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েন্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। আর ২০১৩ সালে ঢাকা লীগেই প্রাইম ব্যাংকের হয়ে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৪৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর।
এবারের লিগে তার দল ভালো করতে না পারলেও বল হাতে দারুণ ফর্মে মাশরাফি। তবে প্রত্যাশামতো কথা বলছিল না তার ব্যাট। কিন্তু এদিন এক ইনিংসেই যেন পুষিয়ে দিলেন সব। ফতুল্লায় মাশরাফি ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ছয় নম্বরে। ব্যাটিংয়ে যখন নামলেন, ইনিংসের তখন ৩৬তম ওভার। কলাবাগানের রান ৪ উইকেটে ১৬৯। রানের গতি বাড়াতেই মূলত নেমেছিলেন মাশরাফি। তা পেরেছেনও বেশ। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার সময় তার নামরে পাশে জ্বলজ্বল করছিল ৫১ বলে ১০৪ রান। ৩৫ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। আর পরের ৫০ রান করতে লেগেছে মাত্র ১৫ বল। তাতে ছক্কা ৭টি। মাশরাফির এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ধানমন্ডির বিপক্ষে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩১৬ রান।