সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: দেশের হারবাল শিল্পকে বাঁচাতে আগামী ৫ বছরের জন্য ভ্যাট মওকুফ চায় এ খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনের কনফারেন্স রুমে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অব মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ দাবি জানায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
সেমিনারে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হাসিবুল রহমান বলেন, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) মনে করছে এই সেক্টরে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। কিন্তু এখানে কোনো বড় কোম্পানি নেই। আমরা হাটি হাটি পা করে এগিয়ে চলছি। ৫ বছরের জন্য আমাদেরকে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দিলে পরবর্তীতে এ খাত থেকে অনেক রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ সেক্টরে ভ্যাট আরোপ করলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হবে। তাই আমরা ভ্যাট থেকে নিস্তার চাই।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ, ডিবি, সিআইডি এবং পরিবেশ অধিদফতরের লোকজন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। এটা থেকে মুক্তি চাই।
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী বলেন, হারবাল একটি উদীয়মান সেক্টর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি মিলিয়ন ডলারের বিজনেস। কিন্তু আমরা পিছিয়ে আছি। কেননা এখানে সরকারি প্রনোদনার অভাব রয়েছে।
গত ১৭ মে মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনের কনফারেন্স রুমে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অব মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ দাবি জানায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
সেমিনারে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হাসিবুল রহমান বলেন, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) মনে করছে এই সেক্টরে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। কিন্তু এখানে কোনো বড় কোম্পানি নেই। আমরা হাটি হাটি পা করে এগিয়ে চলছি। ৫ বছরের জন্য আমাদেরকে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দিলে পরবর্তীতে এ খাত থেকে অনেক রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ সেক্টরে ভ্যাট আরোপ করলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হবে। তাই আমরা ভ্যাট থেকে নিস্তার চাই।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ, ডিবি, সিআইডি এবং পরিবেশ অধিদফতরের লোকজন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। এটা থেকে মুক্তি চাই।
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী বলেন, হারবাল একটি উদীয়মান সেক্টর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি মিলিয়ন ডলারের বিজনেস। কিন্তু আমরা পিছিয়ে আছি। কেননা এখানে সরকারি প্রনোদনার অভাব রয়েছে।
এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন হারবাল ও ইউনানী মেডিসিনের চেয়ারম্যান ও মডার্ণ হারবাল গ্রুপ চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি বলেন- আমাদের ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় বাড়ির ছাদে ভার্মিকমোপস্ট, সার, জৈব ও অর্গানিক উপায়ে হাইড্রোপনিক পদ্ধিতিতে সহজেই সকল নাগরিকরা তাদের উন্মুক্ত ছাদ, বারান্দা, আগিনায় প্রয়োজনীয় ভেষজ থানকুনি, পুদিনা, ধনেপাতা চাষাবাদ করে নিজ নিজ চাহিদা মেটাতে পারে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ অক্ষিজেন এর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। প্রকৃতির সাথে থেকে আজন্ম সুস্থ থাকার আহবান করেন তিনি।শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
উল্লেখ্য সম্প্রতি এক সভায় কমিটির সদস্যগণ নিজ নিজ সমিতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন এবং সভায় নিমোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১. ফার্মাসিউটিক্যালস, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও হারবাল প্রডাক্টস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো একত্রিত করে ১টি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে রূপান্তরিত করা।
২. জাতীয় ওষুধ শিল্পনীতি আইন সংশোধন করা
৩. আগামী বাজেটে ভ্যাট সাব-কমিটি গঠন করা
৪. মোবাইল কোর্টের অভিযানের সময় ওষুদ প্রশাসনের প্রতিনিধি রাখা
৫. পরিবেশ সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্ভিস সার্টিফিকেট ও লেবার কোর্টের সার্টিফিকেট ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধা করাৎ
৬. ভেষজ উদ্ধিদ এর গাছ গাছালি বিষয়ে একটি সেমিনার এর আয়োজন করা
৭. প্রত্যেক সমিতির সমস্যাগুলো লিলিত আকারে প্রস্তাব করা
সেমিনার এর শেষ পর্বে সাটিফিকেট প্রদান করেন