সিঙ্গাপুরে গত মাসে আটক হওয়া ছয় বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ছয়জনের বয়স ২৬ থেকে ৩১ বছর। মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুর দিকে আটক আট জনের মধ্যে এ ছয় জন রয়েছেন। তাদেরকে তখন সিঙ্গাপুরের ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের (আইএসএ) আওতায় আটক করা হয়। এ খবর দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইম
স পত্রিকা। খবরে বলা হয়েছে, নিজেদের ‘ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ (আইএসবি)’ আখ্যা দিয়ে, এ লোকেরা নিজ দেশে ফিরে (বাংলাদেশে) সরকার উৎখাত করতে হামলা চালানোর চক্রান্ত করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র শাখা স্থাপন। এবং একে সিরিয়ার আইএস’র স্বঘোষিত খেলাফতের অধীনে নিয়ে আসা।
শুক্রবার ছয় ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বা অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে সিঙ্গাপুরের টেরোরিজম অ্যাক্টের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়। এ ছয় জন হলেন মিজানুর রহমান (৩১), লিয়াকত আলি মামুন (২৯), রুবেল মিয়া (২৬), দৌলত জামান (৩৪), হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর (৩০) ও সোহেল ইসমাইল হাওয়ালাদার (২৯)। তিনটি পৃথক আর্মার্ড ট্রাকে করে তাদের স্থানীয় সময় দুইটায় আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ব্যাপক। গত মাসে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানুর রহমানকে এ গোষ্ঠীর মূল হোতা বলে চিহ্নিত করে।
ছয় জনের মধ্যে রুবেল মিয়া ও হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহারের উদ্দেশ্য অর্থ নিজের কাছে রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। লিয়াকত আলি মামুন ছাড়া অভিযুক্তদের সবাই আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করেছেন। ৩১ই মে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী শুনানিতেও তারা দোষ স্বীকার করে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের এক পুলিশ মুখপাত্র বলেন, এ ছয়জন হলেন সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে আইএসএ অ্যাক্টের আওতায় বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা ও জামাহ ইসলামিয়াহ জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যর্থ হামলার পর ২০০২ সালে এ আইনটি সিঙ্গাপুরে পাশ হয়। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টও এ ঘটনায় তাদের নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে ৮ই এপ্রিল থেকে।
তিনি বলেন, ‘অর্থায়ন সহ সন্ত্রাসবাদ-স¤পর্কিত কর্মকান্ডের প্রতি যেকোন ধরণের সমর্থনকে সিঙ্গাপুর খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। সন্ত্রাসবাদী উদ্দেশ্যে যে ব্যাক্তিই অর্থ সরবরাহ, সংগ্রহ বা নিজের জিম্মায় রাখবে, তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ নেবে।’