টেনিস কোর্টে অসংযত আচরণের কারণে ভিন্ন শিরোনামে তার নাম উঠছিল প্রা্য়ই। এবার এর মূল্য দিলেন নিক কিরগিওস। অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তরুণ এ টেনিস তারকা। পুরুষ একক টেনিসে বিশ্বের ১৯তম শীর্ষ খেলোয়াড় কিরগিওসের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়া অলিম্পিক কমিটি (এওসি) জনসম্মুখে তার প্রতি অবজ্ঞা দেখাচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার করেন এওসি প্রধান কিটি চিলারও। আসন্ন রিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়া দলের শেফ দ্য মিশন কিটি চিলার বলেন, আচরণের কারণে তার দিকে নজর রেখেছি আমরা। সামাজিকমাধ্যমে এক বার্তায় নিক কিরগিওস বলেন, গত চার সপ্তাহ ধরে এওসি আমাকে ধোঁয়াশায় রেখেছে। আমি রিও অলিম্পিকে খেলবো কিনা তা অস্পষ্ট রেখেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়া টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি স্টিভ হিলি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে তার (কিরগিওস)। আমরা তাকে সমর্থন করি। তবে তার এমন অবস্থা দেখাটাও দুঃখের। গত সপ্তাহে ফরাসি ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালে কোর্টে অসংযত আচরণ দেখান কিরগিওস। স্বাগতিক তারকা রিশার্ড গ্যাসকের বিপক্ষে ম্যাচের একপর্যায়ে কোর্টের বল বয়কে ধমক দিয়ে ওঠেন কিরগিওস। এতে জরিমানা করা হয় এ অজি টেনিস খেলোয়াড়কে। কিরগিওসকে নিয়ে টেনিস বিশ্ব তোলপাড় হয় সর্বশেষ ইউএস ওপেন চলাকালে এক ঘটনায়। ম্যাচ চলাকালে টেনিস কোর্টে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কার প্রেমিকাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন কিরগিওস। ঘটনার শাস্তিতে কিরগিওসকে ২৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)।