চিলির বিপক্ষে ম্যাচের ৫১ মিনিটে প্রথম গোলটি করে গ্যালারির দিকে দৌড় দেন অ্যাঙ্গল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একজন কর্মী তার দিকে একটি টি-শার্ট এগিয়ে দেন। সাদা সে শার্টে লেখা, ‘দাদি আমি তোমাকে অনেক মিস করবো’। শার্টটি দুই হাতে উঁচু করে ধরে মুহূর্তেই কেঁদে ফেললেন আর্জেন্টিনার এ মিডফিল্ডার। সতীর্থরা গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিলেন। কিন্তু মারিয়ার চোখ তখন পানিতে ভরে উঠেছে। কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এদিন মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে নিজের দাদির মৃত্যুর খবর পান অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার এ মিডফিল্ডারকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন তার দাদি। দাদি বলতে পাগল ছিলেন মারিয়াও। সেই দাদির মৃত্যুর দুঃসংবাদ নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। শোক নিয়ে মাঠে নেমে দেখান দারুণ নৈপুণ্য। চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের জয়ে দুটি গোলেই রাখেন অবদান। একটি গোল করার পাশাপাশি অন্য গোলটি বানিয়ে দেন তিনি। গোলটি উৎসর্গ করেন দাদিকে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে দাদিকে স্মরণ করে ফের কেঁদে ফেলেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই’র এ মিডফিল্ডার। কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিল ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ইনজুরির কারণে প্রথম একাদশে ছিলেন না দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার সব দায়িত্ব গিয়ে পড়ে গঞ্জালো হিগুইয়েন, সার্জিও আগুয়েরো ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াদের কাঁধে। সেটা তারা দারুণভাবে পালন করেন। মেসির অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি ডি মারিয়া ও এভার বানেগারা। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৫১ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন ডি মারিয়া। এ গোলে সহায়তা করেন এভার বানেগা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লেভি’স স্টেডিয়ামে এর ৮ মিনিট বাদে আর্জেন্টিনার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেভিয়ার মিডফিল্ডার এভার বানেগা। এবার এই গোলটিতে সহায়তা করেন ডি মারিয়া। বাড়তি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে চিলির পক্ষে সান্ত্বনার গোলটি করেন হোসে ফানজালিদা। গ্রুপ ডি’তে আর্জেন্টিনার সঙ্গে রয়েছে চিলি, পানামা ও বলিভিয়া। গতকাল পানামাও বলিভিয়াকে হারায় ২-১ গোলে।