গণধর্ষণের এক দশকের বেশি সময় পরেও সুবিচার পান নি পাকিস্তানের বহুল আলোচিত মুকতার মাই। তার ধর্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলেও বিষয়টি এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ২০০২ সালে ২৮ বছর বয়সী এই নারী পাকিস্তানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হন। এ জন্য অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনকে দেয়া হয় মৃত্যুদন্ড। তারা আপিল করে। আপিলে লাহোর হাই কোর্ট ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়। তিন বছর আগে এ রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারক নির্দেশ দিযেছেন মূল রায়টিকে পর্যালোচনা করা হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে পর্যালোচনা করার ঘটনা বিরল। মুকতার মাই ১৪ বছর ধরে বিচারের জন্য অপেক্ষা করছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত নিশ্চয় তার বিচার পাওয়াকে আরও বিলম্বিত করবে। মুকতার মাইয়ের বয়স এখন ৪২ বছর। তিনি বলেন, বিচারক এখন মামলাটি পর্যালোচনা করতে চাইছেন এ জন্য যে, তারা হয়তো এমন কিছু দেখতে পেয়েছেন যা এর আগে পাওয়া যায় নি। তারা কি এমন দেখতে পেয়েছেন তা আমাকে জানানো হয় নি। তবে তারা কমপক্ষে শুনানি করবেন এতে আমি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। আমার প্রার্থনা হলো অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া হোক। তাদেরকে যদি আদালত থেকে সঠিক শাস্তি দেয়া না হয় তাহলে আল্লাহ আমাকে সুবিচার দেবেন।