রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারি-শিশুসহ ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তবে লিফট ছিঁড়ে বিস্ফোরিত হওয়ার আগে ভবনের বেজমেন্টে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এবং সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলেও মনে করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
আর আগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল সেটিই নিশ্চিত হতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু কারণ ধরে এগুচ্ছি। এক্ষেত্রে বেজমেন্টে বিশাল আগুন কীভাবে ধরলো এবং বেজমেন্টে কিছু অনাকাঙ্খিত স্থাপনাও দেখতে পেয়েছি। তাই এসব ধরেই আমরা এগুচ্ছি।
এদিকে মার্কেটের জুয়েলারি ব্যবসায়ী সুবত কর্মকার জানান, ২০১২ সালেও ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেসময় হরতালের কারণে শপিং মলে লোক সমাগম কম থাকায় কেউ নিহত না হলেও কয়েকজন আহত হয়েছিল।
মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি ৬টা ২৭ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মোট ১৫টি ইউনিট কাজ করেছে। আমরা যেটা দেখেছি বেজমেন্টে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া ভাঙচুরও চালানো হয়েছিল। তাই বিষয়টি তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হককে।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তরা) বিধান ত্রিপুরা জানান, এ পর্যন্ত ৬ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি জানা গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা কত তা বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এরপর তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।