ঢাকার গুলশানে কূটনৈতিক পাড়ায় হলি আটির্জান রেস্তোরাঁয় শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে নয়জনই ইতালির নাগরিক বলে জানিয়েছে ইতালীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলনি।
শনিবার তিনি ইতালীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মর্গে আরো একটি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই লাশটিও কোনো ইতালীয় নাগরিকের। আর তা হলে ওই ঘটনায় মৃত ইতালীয় নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ জনে।
এদিকে জাপান সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে সাতজন জাপানি নাগরিক রয়েছেন। দেশটির মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের প্রধান সচিব শনিবার গণমাধ্যমকে জানান, নিহত সাত জাপানির মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং দুইজন নারী রয়েছেন।
হামলার সময় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁতে আট জাপানি উপস্থিত ছিল। এর মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া নিহতের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো নাগরিক রয়েছে কি না তা জানার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আহতদের মধ্যে কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার রয়েছে বলেও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, আর্টিজান বেকারি রেস্তারাঁতে গত রাতে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তারাশি জৈন (১৯) নামের ভারতীয় এক তরুণী রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তারাশির বাবা গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারাশি যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন করছিলেন। ছুটিতে তিনি ঢাকায় এসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়।
ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং এসি রবিউল।