সাদিয়া আফরোজ ,স্বদেশনিউজ২৪ঃগত বছর আটকে ছিলেন চতুর্থ রাউন্ডে। এবার এক রাউন্ড আগেই। কিন্তু চিত্রনাট্য প্রায় একই—প্রথম দুই সেট হার, এরপর বৃষ্টির বাধা, ফিরেই আবার ঘুরে দাঁড়ানো। এবার শেষটা আগের মতো হলো না। স্যাম কুয়েরের বিপক্ষে কাল ০-২-এ পিছিয়ে থেকে তৃতীয় সেটে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। কিন্তু চতুর্থ সেটে ধারাবাহিকতাটা আর ধরে রাখতে পারেননি, ৬-৫-এ এগিয়ে কুয়েরে যখন ম্যাচ জিতে নেওয়ার পথে তখনই অবশ্য আরো একবার ফিরে এসেছে বৃষ্টি। উইম্বলডনে বৃষ্টির মাঝেই বিদায় নিলেন গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। চূড়ান্ত স্কোরটা ৭-৬ (৮/৬), ৬-১, ৩-৬, ৭-৬ (৭-৫)। ২৮তম বাছাই কুয়েরের কাছে জোকোভিচের এই হার ২০১৫-এর ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালের পর এবারই প্রথম। আর উইম্বলডনে ২০১৩-এর ফাইনালে অ্যান্ডি মারের পর এই প্রথম হারলেন জোকোভিচ। ফলে ঘুচে গেল ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ডস্ল্যামের স্বপ্ন। গ্র্যান্ডস্ল্যামে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পেলেন হারের অপ্রিয় স্বাদ। সেটাও অকস্মাৎ বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ৪১ নম্বর খেলোয়াড় কুয়েরের কাছে। ব্যাপারটা টেনিসের ইতিহাসে অনেকটা অখ্যাত লরি ম্যাকনিলের কাছে স্টেফিগ্রাফের প্রথম রাউন্ডে হেরে যাওয়া বা অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক খেলোয়াড় পিটার ডুহানের কাছে বরিস বেকারের হেরে যাওয়ার মতোই আশ্চর্যের মনে করছেন টেনিস বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে জোকোভিচের শারীরিক অসুস্থতার কথা, যদিও এই সার্বিয়ান কিছু অজুহাত হিসেবে সামনে আনতে নারাজ, ‘পুরোপুরি সুস্থ ছিলাম না, কিন্তু ওসব নিয়ে কথা বলার জায়গা এটা না।’ উইম্বলডনে মাঝের শনিবারের দিনটি খেলা ছাড়াও অবশ্য আলোচিত। দর্শক সারিতে যে ইংল্যান্ডের ১৯৬৬-এর বিশ্বকাপজয়ী তারকারা। প্রতিবছরই এই দিনটায় ব্রিটেনের কৃতী ক্রীড়াবিদদের টেনিস দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে অল ইংল্যান্ড ক্লাব। কাল সেই আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন গর্ডন ব্যাংকস, ববি চার্লটন, রজার হান্ট ও ফাইনালের হ্যাটট্রিক হিরো জিওফ হার্স্ট। তাঁদের সামনেই এদিন কিকি বার্টেনসকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেছেন মেয়েদের র্যাংকিংয়ের ৫ নম্বর তারকা সিমোনা হালেপ। ৬-৪ ও ৬-৩ গেমে জয় পেয়েছেন ২০১৪-এর এই সেমিফাইনালিস্ট। ছেলেদের কোর্টে কাল বৃষ্টির বাধায় পড়ে ব্রিটিশ তারকা অ্যান্ডি মারে ও জন মিলম্যানের ম্যাচও। মারে প্রথম সেটে ৬-৩ গেমে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এর পরই শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৬-৩, ৭-৫, ৬-২ গেমে সরাসরি সেটে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন ব্রিটেনের আশার আলো মারে। অন্য ম্যাচে কেই নিশিকোরি ৭-৫, ৬-৩ ও ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন আন্দ্রে কুজনেতসভকে, নিকোলাস মাহুত জয় পেয়েছেন ফ্রান্সেরই পিয়েরে হিউজেস হারবার্টের বিপক্ষে। মেয়েদের এককে দুইবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কেভিতোভা হেরে গেছেন একতেরেনা মাকারোভার কাছে।