অনিয়মের কারণে ২০০৯-১০ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৬৫৬ কোটি ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অডিট অধিদপ্তরের ২২টি অনিষ্পন্ন নিরীক্ষা আপত্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয়ে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এসব নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি দ্রুত এসব নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তি এবং দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট আদায় না করে ঋণ পুনঃ তফসিল করায় খুলনার দৌলতপুর শাখা সোনালী ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ৬১ কোটি ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। ঋণের গ্রাহক ইস্টার্ন ট্রেডার্সের আসল ঋণ ২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ঋণের সুদের পরিমাণ ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ঋণ হিসাবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং গ্রাহকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটি এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অপসারণের সুপারিশ করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যাতে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পুনরায় ঋণ গ্রহণ না করতে পারে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার সুপারিশ করেছে।