কটিয়াদী , (কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ গ্রামের ৯ বছরের শিশু রুনা আক্তার। কয়েক বছর আগে বাবা আবদুল মোতালিব মারা যান। এতিম প্রতিবন্ধী শিশু রুনা লেখাপাড়ার প্রতি অদম্য ইচ্ছা। ফলে অতি দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। কিন্তু একটি হুইল চেয়ারের জন্য স্কুলে যেতে পারছিল না সে। রুনার এ করুণ কাহিনী ছবিসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন এলাকার শফিক কবীর ও তানভির হায়দার ভূঁইয়া। বিষয়টি ঢাকায় ‘ন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণরত কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীলের নজরে আসে। পরে তিনি কিশোরগঞ্জ ফিরে এসে রুনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেন, রুনার জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করবেন। সোমবার লেখাপড়ার চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি রুনা আক্তারকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন। রুনা আক্তার এলাকার গোয়ালাপাড়া আনন্দ স্কুলের ছাত্রী। সে এবার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল জানান, বিষয়টি ফেসবুকে দেখতে পেয়ে তিনি খুবই মর্মাহত হন। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করেন এমন একটি এনজিও ‘ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (এমডিপি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা একটি হুইল চেয়ার সরবরাহ করতে সম্মত হয়। এমডিপির দেওয়া হুইল চেয়ারটি গতকাল রুনাকে প্রদান করা হয়েছে। হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে রুনার চোখে পানি এসে যায়। রুনা জানায়, হুইল চেয়ার পেয়ে সে খুবই খুশি। এখন সে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবে।