আন্তর্জাতিক আন্ত:ব্যাংক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকে সংযুক্ত সার্ভার সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়নি। এতে অপরাধীরা খুব সহজেই সার্ভার হ্যাক করে গোপন পিন কোডগুলো জেনে নেয় বলে জানিয়েছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি প্রায় দেড় মাস আগে অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয় তদন্ত প্রতিবেদন।
অর্থমন্ত্রী ওই প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে কয়েক দফা ঘোষণা দিলেও জন সম্মুখে এখনোও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব পালনকারী সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, সুইফটয়ের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকেত আদান প্রদানে ব্যবহার করা হয় তিনটি সার্ভার।
কোটি টাকা মূল্যের প্রতিটি সার্ভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, এসব সার্ভারে অন্য কোন কাজ না করার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সার্ভার সংশ্লিষ্ট মনিটরগুলোতে ব্যবহার করেন অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এতে সব ধরনের নিরাপত্তা হারায় সার্ভারগুলো।
২০১৩ সালে একইভাবে সোনালী ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেয় অপরাধ চক্র। আর বিশ্বব্যাপী এমন ঘটনা বেশ আলোচনায় আসলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অনেকটাই অসচেতন ছিলেন বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. আবদুর রশিদ।
এদিকে রিজার্ভ চুরির তথ্য কয়েকটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে তথ্য পেতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করছে বলেও জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুলিশ বিভাগের দেয়া তথ্য পেলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই রিজার্ভ চুরির ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।