কল্যাণপুরে নিহত আরো এক জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পরিচয় মেলা অষ্টম এ জঙ্গি রংপুরের পীরগাছার একটি মাদরাসার ছাত্র রায়হান কবীর। এ ছাড়া আগে পরিচয় মেলা ৭ জনের মধ্যে একজন ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী পূর্ববঙ্গের গভর্ণর মোনায়েম খানের নাতি। ৩ জন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ৩ জন বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র।
মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশের সোয়াতের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে পরিচয় মেলা অষ্টম যুবকের নাম রায়হান কবীর বলে জানিয়েছে পুলিশ। রংপুরের পীরগাছার একটি মাদরাসার ছাত্র এই রায়হান গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাকারী জঙ্গিদের প্রশিক্ষক ছিল বলেও পুলিশ তথ্য দিচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, রায়হান কবির ওরফে তারেক নামের ওই তরুণ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়েকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের গাইবান্ধার চরে প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,“রায়হান কবির গুলশান হামলাকারীদেরও প্রশিক্ষক ছিল। তাকে আমরা তারেক নামে চিনতাম। গুলশানে হামলার আগে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের একটি চরে সাতজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে গুলশান হামলাকারীরাও ছিল। তাদের দুই প্রশিক্ষকের একজন ছিল রায়হান ওরফে তারেক।”
এছাড়া ওই অভিযানে নিহত আরো ২ জঙ্গি আবু হাকীম নাঈম এবং রায়হান কবীরও ভিন্ন ভিন্ন মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। তবে পরিচয় মেলা ৮ জঙ্গির তিনজনই পড়েছে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারা হলো- সাজাদ রউফ অর্ক, তাজ-উল হক রাশিক এবং আফিকুজ্জামান। অন্যদিকে, মতিয়ার রহমান পড়েছে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। আর জোবায়ের হোসেন নোয়াখালী সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
এদিকে, নিহত জঙ্গি আফিকুজ্জামার খান , ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কিশোরযোদ্ধার হাতে নিহত পূর্ববঙ্গের গভর্নর মোনায়েম খানের নাতি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশ আরো জানিয়েছে, নিহত আব্দুল্লাহ জঙ্গিদের মগজ ধোলায়ের কাজ করতো। কল্যাণপুরের ঘটনায় মীরপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।