গত দেড় থেকে দুই বছর ধরে নিখোঁজ আছে গোপালগঞ্জ ও বগুড়ার তিনটি পরিবারের ৪ শিশুসহ ৯ জন। গোয়েন্দাদের ধারণা ৩টি পরিবারই কথিত ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। কোথায় আছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও স্বজনরা তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হাইকোর্টের আইনজীবী একেএম তুরকীউর রহমান ২০১৫ সালের ১৫ই এপ্রিল স্ত্রী রিদিতা রাহিলা ইকবাল ও ১ বছর বয়সী শিশু কন্যা মাইসা বিনতে তাকিকে নিয়ে কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় যায় বলে জানাচ্ছে গোয়েন্দারা। তারা আরো বলছেন, তুরকীউর অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার সময়ই জঙ্গিবাদে দীক্ষা নেন। দেশে ফিরে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত এক কর্নেলের মেয়েকে বিয়ে করেন।
বগুড়ার কালিতলায় তুরকীউর রহমানের পৈতৃক ভিটা। স্ত্রী ও শিশু কন্যাসহ তার সিরিয়া পাড়ি জমানোর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত নয় পরিবার। তবে আব্দুল খালেক জানান, ওমরার জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলে নিরুদ্দেশ হন তাঁর ছেলে।
এদিকে, স্বামী সন্তানসহ নিখোঁজ আছেন ২ বোন সায়মা আক্তার মুক্তা এবং রাবেয়া আক্তার টুম্পা। গোয়েন্দারা বলছেন, ২০১৪ সালের ১৫ই আগস্ট গর্ভবতী মুক্তা ৬ ও ৪ বছর বয়সী দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানেই ড্রোন হামলায় নিহত হন তার স্বামী সিফুল হক সুজন। একই সময় টুম্পাও লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমান বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাতুড়তিয়া গ্রামের এই দুই নারীর বাবা সোলায়মান শেখও জঙ্গি অর্থায়নের কারণে জেল খেটেছেন বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তবে তাদের গ্রামের স্বজনরা এসবের কিছুই জানেন না।
সম্প্রতি তৃতীয় দফায় সন্দেহজনক নিখোঁজ ৮ ব্যক্তির নাম পরিচয় প্রকাশ করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। যাদের সবাই জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত।