এক ডাকাতি মামলার তদন্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বন্দরে আটকে দেয়া হলো দুই মার্কিন সাঁতারুকে। গতকাল রিও ডি জেনিরো বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয় শীর্ষ মার্কিন সাঁতারু গানার বেঞ্জ ও জ্যাক কঙ্গারকে। এর আগে মার্কিন চার সাঁতারু রায়ান লোকটে, জেমস ফিজেন, গানার বেঞ্জ ও জ্যাক কঙ্গারের পাসপোর্ট ও কাগজপত্র জব্দের আদেশ দেন ব্রাজিলের আদালত।
গত সপ্তাহে রিওডি জেনিরোর পথে ডাকাতির শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মার্কিন এ চার সাঁতারু। তবে রিওডি জেনিরো পুলিশের অভিযোগ, মার্কিন অ্যাথলেটদের ঘটনার পরস্পর বর্ণনায় অসঙ্গতি রয়েছে। অলিম্পিক সাঁতারে ১২ বারের স্বর্ণজয়ী তারকা রায়ান লোকটে তার অভিযোগে বলেন, রিওডি জেনিরোতে ফরাসি অলিম্পিক দলের হসপিটালিটি হাউজ থেকে দাওয়াত খেয়ে অলিম্পিক ভিলেজে ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়েন তিনিসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার অ্যাথলেট। পথে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে তাদের টাকা-পয়সা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায় পুলিশের বেশধারী ডাকাতরা। তবে মার্কিন সাঁতারুদের কথায় অসঙ্গতি দেখছে ব্রাজিলের পুলিশ। পুলিশ জানায়, ডাকাতরা ক’জন ছিল এ নিয়ে পরস্পর ভিন্ন সংখ্যা জানাচ্ছেন মার্কিনরা। লোকটে-ফিজেনরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ডাকাতির শিকার অ্যাথলেটরা অলিম্পিক ভিলেজে ফেরেন ভোর ৪টায়। কিন্তু অলিম্পিক ভিলেজের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে তারা সেখানে ফিরেছেন সকাল ৭টায়। আদালতের কাছে লোকটে-ফিজেনের অলিম্পিক ভিলেজের গৃহে তল্লাশির অনুমতিও চেয়েছে রিও পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, আদালতের আদেশের আগেই রায়ান লোকটে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন। রিও পুলিশ তাদের পাসপোর্ট ও অন্য কাগজপত্র নিতে চেয়েছে। চার মার্কিন সাঁতারুর ডাকাতের কবলে পড়ার ঘটনায় রহস্যটা শুরু থেকেই। ঘটনার পর পুলিশের কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেননি তারা। খবরটি চাউর হয় রায়ান লোকটের মা যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন মিডিয়ার কাছে এমন সংবাদ দেয়ার পর। আর শুরুতে লোকটে বলেন, অস্ত্রের মুখে গাড়ি থামিয়ে তার কপালে পিস্তল ঠেকায় ডাকাতরা। লোকটে পরে বলেন, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নয়, ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন তারা এক পেট্রল পাম্পে এবং তার কপালে পিস্তল ঠেকায়নি কেউ। গতকাল রিও পুলিশ জানায়, ওই চার মার্কিন অ্যাথলেটকে বহনকারী গাড়ির ড্রাইভারের খোঁজ নেই। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাস্যকৌতুকরত চার মার্কিন সাঁতারু অলিম্পিক ভিলেজের নিরাপত্তা চৌকি পার করছেন। এসময় তাদের হাতে মোবাইল ফোন ও অন্য সামগ্রী দেখতে পাওয়া যায়। গতকাল ব্রাজিলের আদালত বলেন, তাদের ডাকাতের কবলে পড়ার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।