চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ জন। এরা হলেন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ আহমদ, ইতিহাস বিভাগের আল শাহরিয়ার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিয়াজ উদ্দীন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আবদুল কাদের, ইংরেজি বিভাগের মাহমুদুল হাসান রূপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগের আবদুল আলিম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের আজাদুর রহমান এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সামির। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. মো. আতাউল গনি জানান, আহতরা শংকামুক্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ আহমদকে আজ মঙ্গলবার বেধড়ক মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপুর কয়েকজন অনুুসারী। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ শাহ আমানত হল ও শাহজালাল হলে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সামান্য ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। তবে সংঘর্ষের কথাটি সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি পুরোপুরিই শান্ত। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কর্মী শেখ আহমদ বাইরে যাওয়ার সময় শাহজালাল হলের সামনে সভাপতি পক্ষের কর্মী ইফরাতুল আলম পিটুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করে।’ তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি মো. আলমগীর টিপু বলেন, ‘আমাদের কিছু জুনিয়র কর্মীর মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।’