গাজীপুরের টঙ্গীতে টাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার আরো ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩ জনে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন সেনাবাহিনীর একটি দল।
এদিকে, টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডে হতাহতের ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় কারখানার মালিক মো. মকবুল হোসেন লিচু মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এ ঘটনায় আহত রয়েছেন ৩৪ জন ও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন।
কারখানায় কাজ শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগে বাড়ি ফেরার কথা ছিলো এই মানুষগুলোর। কিন্তু এখনকার চিত্রটা সম্পূর্ণই ভিন্ন। অগ্নি বিধ্বস্ত টাম্পাকো ফয়েল কারখানার সামনে পরিবারের প্রিয় সদস্যকে খুঁজে ফিরছেন স্বজনরা। জীবিত না হোক অন্তত স্বজনের লাশটি নিয়ে ঘরে ফিরতে চান তারা। তবে কারখানা থেকে যেসব লাশই পাওয়া যাচ্ছে তা পুড়ে যাওয়া কয়লা ছাড়া আর কিছু নয়।
এদিকে বাতাসে লাশের গন্ধে চারপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়ে যেমনি অনিশ্চয়তা তেমনি পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সদস্য হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতদের পরিবার।
শনিবার সকালে কারখানাটিতে আগুন লাগলেও সোমবারেও থেমে থেমে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দলও অভিযানে অংশ নেয়। কারখানাটিতে কেমিকেল থাকায় উদ্ধার কাজে সময় লাগছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এর আগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার তাজরীন পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জনের প্রাণহানি ঘটে।