বাংলাদেশ জ্বালানী ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলছেন, গ্রিডে সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে বর্তমানে কারিগরি সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে। তবে তার দাবি, এ ক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণা চলছে।
এদিকে নেট মিটারিং সিস্টেমে হলেও বাণিজ্যিকভাবে এখাতে সরকারের উৎসাহ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে জার্মানি। বিশেষ করে সোলারের মাধ্যমে দেশটির মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ৭০ ভাগ পূরণ হচ্ছে। শুধু বড় আকারের প্লান্টই নয় এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে বাসাবাড়ির সোলারগুলোও।
নতুন ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১১ সালে সোলার স্থাপনের পরামর্শ দেয় সরকার। এতে বলা হয়, ভবনের অন্তত ৩ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে হবে সোলার থেকে; তবেই মিলবে নতুন সংযোগ।
সংযোগ পেতে সেই থেকে ব্যাপক পরিসরে সোলার স্থাপন শুরু হয়। কিন্তু নামমাত্রে লাগানো সেসব সোলারের এখন অনেকগুলোই নষ্ট। যেগুলো চলছে সেগুলো শুধু বাসাবাড়ির চাহিদায় অবদান রাখলেও অবদান রাখছে না জাতীয় গ্রিডে।
এই যেমন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিউরোর ছাদে যে বিশাল আকারের সোলার রয়েছে সেটিতে ভবনের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু এমন হাজারো সরকারি ভবন যখন ছুটির দিনে বন্ধ থাকে তখন উৎপাদিত বিদ্যুৎ কোথায় যায়?
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলছেন, সরকারি এবং বাসাবাড়ির সোলার যদি জাতীয় গ্রিডে অবদান রাখতো তাহলে তা জাতীর জন্যই উপকার হতো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আহমেদ কাইকাউস বলেন, জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য গবেষণা চলছে।
তিনি আরও জানান, এখন দেশে প্রায় ৪০ লাখ পরিবার সোলার সিস্টেমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করছে।
সারা বিশ্বে খনিজ জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে। বাংলাদেশও এই প্রক্রিয়ার বাইরে নয়।
আর তাই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্যক্তি পর্যায়ের সোলার প্যানেলগুলো যাতে জাতীয় গ্রিডে অবদান রাখে এ কারণে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।