আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী দুই দেশের ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমানায় ৩৬৬টি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে। বিজিবির আঞ্চলিক অধিনায়ক খলিলুর রহমানকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব ও আত্মবিশ্বাস এখন গভীর। সীমান্তে পাচারকারীদের তৎপরতা বন্ধে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি লিখেছে, মানব ও মুদ্রা পাচার; সোনা, গরু, মাদক ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চোরাচালান; এমনকি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পারাপারের ক্ষেত্রেও সীমান্তের ওই জায়গাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এই অপরাধীদের একটি তথ্যভাণ্ডারও তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়, তবে চিহ্নিত জায়গাগুলোর নাম বা কোন জেলায় অবস্থান- সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি। কলকাতায় বিএসএফ এর ডিআইজি আরপিএস জাসওয়াল বলেন, বিএসএফ ও বিজিবি আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে। বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, পাচারকারীদের কোনো জাতীয়তা নেই। বিএসএফ যেমন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে, আমরাও তেমনই করি। আমাদের সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে। নীতিগতভাবে এটাও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশের সব সীমান্তজুড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে যেমন ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষার জন্য করা হয়েছে। ভারত তাদের সীমান্তের ৭৬ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শেষ করেছে। আর পাচার বন্ধ করতে নদী এলাকার ৯২৬ দশমিক ৬২ কিলোমিটারে লেজারের সাহায্যে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।