আঙ্গুলের ছাপ জালিয়াতি করে এক ব্যক্তির নামে একাধিক যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি, কিংবা ভুয়া নামে পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে খোদ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী- এমনকি জঙ্গিরাও ভিন্ন নামে পাসপোর্ট বানাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতার অভাবে এ ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে।
সনাতনি পদ্ধতির পাসপোর্টের দিন শেষ। এখন আঙ্গুলের ছাপযুক্ত সুরক্ষিত এমআরপি ব্যবহার বাধ্যতামূলক বাইরের সবদেশে। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির শুরু বছর ছয়েক আগে।
কিন্তু এক ব্যক্তির নামে বহু এমআরপি বানানোর বিষয় ধরা পড়ায় প্রশ্ন জাগে, একই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ দু’রকম হয় কি করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে জালিয়াতি করছে অধিদপ্তরের লোকজনই।
তদন্ত কমিটির তথ্য এক ব্যক্তির একাধিক পাসপোর্ট বানাতে জালিয়াত চক্র বেছে নিয়েছে বেশ কিছু কৌশল। যে আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার কথা সেটা না নিয়ে তারা নিচ্ছে অন্য আঙ্গুলের ছাপ।
এদিকে একজন মানুষের দুই হাতের তর্জনি আর বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু জালিয়াত চক্রটি একবার ওই দুই আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে একটি পাসপোর্ট বানায় দ্বিতীয় পাসপোর্টের জন্য নিচ্ছে অন্য যেকোন দুই আঙ্গুলের ছাপ। এভাবে এক ব্যক্তির নামে হচ্ছে একাধিক এমআরপি।
গবেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি বুঝার মতো দক্ষ জনবলের অভাবে এই জালিয়াতির সুযোগ হচ্ছে।
তদন্তে জালিয়াতির ধরা পরায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক এসএম শাহজামানসহ চারজনকে বরখাস্ত করা হয় গেল রোববার। জালিয়াতি রোধে এখন থেকে হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের ছবি সংরক্ষনের পরিকল্পনা করছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।