কারো অবৈধ সম্পদ অর্জনের হাতিয়ার রাজনৈতিক দল হতে পারেনা। বিশেষত: আওয়ামী লীগ তো নয়ই। বিবেক বিসর্জন দিয়ে কারো যদি বিত্তের মোহ জাগে তবে ভিন্নপথ দেখেন। মুখে আদর্শের বুলি কপচিয়ে ঘুষের টাকা পকেটে নিয়ে জুম্মার নামাজ? না, তা চলবে না। মোশতাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি, আর এসব লুটেরারা খুন করছে আমাদের অর্থনীতি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
একত্রে পথচলা, এক রাজনৈতিক দল করা মানে সহমত পোষন নয়। কুটিলেরা ছোবলের অপেক্ষায় থাকে। এসব বঙ্গবন্ধুর অজানা ছিলনা, মোশতাকের চরিত্রও জানতেন, তবু মন্ত্রীত্ব দেন। কিন্তু বেঈমান মোশতাক ঠিকই ছোবল মারে। হাইব্রীড-দুর্নীতিবাজ নিয়ে শংকা সেখানেই। এদের বিশ্বাস করা ঠিক হবেনা। দল বিপদে পড়লে এরা পালিয়ে যাবে, ক্ষতি হবে লক্ষ-কোটি আদর্শিক কর্মী-সমর্থকের।
খন্দকার মোশতাক বয়সে বঙ্গবন্ধুর বড় ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজগুণে নিজের আসন তৈরী করেন, আর যন্ত্রনায় ভোগে মোশতাক, মানতে পারতো না বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব। ক্ষমতার জন্য মরিয়া মোশতাক নির্মম ১৫ আগস্ট ঘটায়। প্রায় কাছাকাছি ঘটনা ঘটে ১/১১-তে। যাদেরকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী বলে জানতাম তারা সেনা সরকারের কাছে শেখ হাসিনার বদনাম করতে ছাড়েনি। তাহলে বিপদে হাইব্রীড-দুর্নীতিবাজ’রা কি করবে?
একটি অসাধু শ্রেনী দেশের ভাগ্য নিয়ে সর্বনাশা খেলায় মেতেছে। পদ-পদবীর দাপটে, নেতৃত্বের অহংকারে দেশের প্রকৃত মালিক জনগনের সাথে তামাসা শুরু করেছে এরা। শাসক দলে মাথা ঢুকিয়ে এরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। একজন সৎ হলেই যদি সব ঠিকঠাক চলতো তবে ৩০০ এমপি, বিশাল মন্ত্রীসভার প্রয়োজন ছিলনা। শেখ হাসিনার ১৮ ঘন্টার পরিশ্রমের ফসলে আগুন দিতেও দ্বিধা করছে না এসব দুর্নীতিবাজ।
তহশীল অফিস থেকে সচিবালয়ের বড় কর্তা, সরকারি দলের ইউপি সদস্য থেকে মন্ত্রী, এমপিদের আচরন দেখলে মনে হয় না তারা এ দেশের নাগরিক। আচার-আচরন যেন এক একজন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিলাতি সিটিজেন। এরা বিপদ ঘটাবে।
অনেকে বলেন, পচাত্তরের পরিস্থিতি নেই। আমি বলবো, তখন ‘চাটার দল’ ছিল, এখন ‘খাই খাই’ বেড়েছে, বেড়েছে মানুষের লোভের মাত্রা। এই লোভীদের বিশ্বাস করলে সমূহ বিপদ ঘটবে। এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।