ট্রাম্পের জয়ের দিনে সক্রেটিসের বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ছে, I to die, you to live, which is better only God knows. অর্থাৎ ট্রাম্পের বিজয় আমাদেরকে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ফেলে কি-না সে শংকা থেকেই যায়। তবে হিলারীর লিবিয়া, সিরিয়া, নীতিতে আমরা বীতশ্রদ্ধ, পৃথিবী শংকিত। এবার ট্রাম্পের নীতি দেখার পালা। ট্রাম্প যদি Mad হয় তবে হিলারী ছিল Bad.
হিলারীর তো বটেই বিশ্ব মিডিয়াও ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ছিল। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিলারী, সে সাথে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল স্বনামধন্য দু’শ মিডিয়া। প্রতিদিন হিলারীর পক্ষে জরীপ, ট্রাম্পকে একজন পাগল ও ভাঁড় হিসাবে উপস্থাপন করে মিডিয়া। তিন প্রতিপক্ষ হিলারী, জরীপ ও মিডিয়াকে সামাল দিয়েই ট্রাম্প জয় করেছেন হোয়াইট হাউজের কঠিন পথ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। যে লোকটির দলীয় মনোনয়নই অনিশ্চিত ছিল, আজ সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের তিনি সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্র ও আগামী পৃথিবী কেমন হবে তা দেখতে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে পৃথিবী অবাক হয়ে দেখলো ৪০ বছরের অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিলারীর পরাজয়, আর মাত্র ১৮ মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ট্রাম্পের দৃঢ়পদে হোয়াইট হাউজে গমনের দৃশ্য।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ছিল অনেকের কাছেই অপরিচিত এবং তালিকার সর্বনিম্নে। কিন্তু যাঁর ললাটে প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত তাঁর জন্য তালিকার হিসাব-নিকাষ মিলে? তাই তাঁর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির ফলে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হারিয়ে দলীয় মনোনয়ন হাসিল করেন ধনকুবের এই ব্যবসায়ী। অবশ্য রাজনৈতিক বক্তৃতায় পটু না হওয়ায় এক সময় রিপাবলিকান নেতারা তাঁর পক্ষ ত্যাগ করেছিল।
আজ তিনি আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। এ জন্য তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এটা হয়তো অনেকেই জানেন যে, তিনি গত আট বছর যাবৎ নিজেকে একটু একটু করে এই দিনটির জন্য তৈরী করছিলেন। খুব কাছের মানুষের এ তথ্যটি অল্পবিস্তর জানা ছিল। আঠার মাসের ব্যবধানে ব্যবসায়ী থেকে আজ তিনি রাজনীতিবিদ। তাঁর সাফল্য-ব্যর্থতার এনাটমি করার সময় আসতে অনেক দেরি। তাঁর পররাষ্ট্র নীতি, আভ্যন্তরীন নীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। তবে প্রত্যাশা, শান্তিপুর্ন বিশ্ব দেখার।