তবে এজন্য দরকার সঠিক আইনী কাঠামোর মধ্যদিয়ে ইসিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া। রাজধানীতে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন, বিশেষজ্ঞরা। তবে, বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপি নেতার দাবি, ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিশন গঠনের। তা-না হলে ভোট কেড়ে নেয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। এক্ষেত্রে বিএনপি’র প্রতি আওয়ামী লীগের পরামর্শ রাষ্ট্রপতির ওপর আস্থা রাখার।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে, কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। তাই রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিশ্লেষক সবার নজর এখন ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে কারা পাচ্ছেন সেই গুরু দায়িত্ব।
সিরডাপ মিলনায়তনে ২৮টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জোট ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের এই আলোচনায়, তাই গুরুত্ব পায় নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি। যেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের দাবি, ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিশন গঠনের। তার আশঙ্কা, কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে, আবারও ভোট কেড়ে নেয়া হবে।
তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন, আওমায়ী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। বিএনপি’র প্রতি তার পরামর্শ রাষ্ট্রপতির ওপর আস্থা রাখার।
আর এ বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্লেষকদের পরামর্শ সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার। তাদের মতে, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয় এজন্য দরকার সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সহযোগিতা।
দেশের গণতান্ত্রিক চর্চার ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করুক ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন, এমনটাই চাওয়া আলোচনায় অংশ নেয়া সবার।