যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)’র প্রধান এডমিরাল মাইকেল রজার্সকে সরিয়ে দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর চাপ দিচ্ছেন। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে শনিবার এ কথা বলা হয়েছে। এমনকি ট্রাম্পের প্রশাসনে একটি উর্ধ্বতন পদের জন্য রজার্সকে ভাবা হচ্ছে বলেও খবর আছে। হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটি চেয়ারম্যান ডেভিন নানস প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জেমস ক্লাপারকে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রজার্সের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। রজার্সকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার পেছনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জেমস ক্লাপার রয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে রজার্সকে বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে। ট্রাম্প তাকে মনোনীত করলে এবং সিনেটে তা পাস হলে তিনি ক্লাপারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তার কার্যালয়ের সমন্বয়ে পরিচালিত দেশের মোট ১৬ টি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। মার্কিন সাইবার কমান্ডেরও প্রধান রজার্স ২০১৪ সালে এনএসএ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সার্ভিসের দায়িত্ব পান। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প টাওয়ারে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের সিদ্ধান্তে উর্ধ্বতন মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আহত হয়েছেন। পত্রিকাটিই প্রথম খবর দেয় যে ক্লাপার ও কার্টার তার অপসারণ চাচ্ছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, এনএসএতে রজার্সের কার্যক্রমে কার্টার অসন্তুষ্ট। তাছাড়া কার্টার এনএসএ ও ইউএএস সাইবার কমান্ডে আলাদা নেতৃত্ব এবং একজন বেসামরিক নেতৃত্বে এনএসএ পরিচালিত হওয়া দেখতে চান। ক্লাপার ও কার্টারের কাছে লেখা চিঠিতে নানস রজার্সের পক্ষাবলম্বন করে বলেছেন, তিনি তার কর্মকান্ডে খুশি। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নিবন্ধে অননুমোদিত গোপন তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে। পেন্টাগন মুখপাত্র পিটার কুক এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।