নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের দুটি মামলায় প্রথমদিনে আজ যুক্তিতর্কের শুনানি শুরু হয়েছে। আদালতে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এই মামলার সকল আসামীর সরবোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আবেদন জানান। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্কের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত সূত্র জানায়। প্রধান আসামী নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে এ যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও এই মামলার অন্য ১২ আসামি পলাতক রয়েছে। সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরআগে কড়া পুলিশ প্রহরায় মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আমরা অপহরন, হত্যা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমান করতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় তিনি সকল আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান। অন্যদিকে তারেক সাঈদের আইনজীবি সাবেক পিপি সুলতানুজ্জামান আসামীদের নির্দোষ দাবি করে তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়ার জন্য আবেদন জানান। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবি চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।