বেনাপোল প্রতিনিধি:প্রকাশ্যে দিবালোকে হাজার লোকের সম্মুখে বেনাপোল বিএইচ ট্রেডার্স ডিউট ফ্রি শপের মদ. সিগারেট,লশুন সহ বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি হয়ে যা”েছ কালোবাজরে। যার সাথে দেশী মাদক ব্যাবসায়ি সহ জড়িত রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট যাত্রী।

ভারতের পাসপোর্টযাত্রী মাল্টিপোল ভিসা নিয়ে সকালে এসে উক্ত দোকান থেকে ১টি করে মাদকের বোতল নিয়ে এদশের পরিচিত মাদক ব্যাবসায়িদের নিকট জমা করে সারাদিন বিজিবি পুলিশ লক্ষ করে ১ টা ১টা করে ১০/১২ টি  মদ তুলে মাদক ব্যাবসায়িদের দিয়ে চলে যায় সন্ধ্যার সময় ওপারে। এদেশের মাদক ব্যাবসায়িরা চুক্তি অনুযায়ী তাদের মুনাফা দিয়ে দেয় । ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ জন যুবক সকালে বেনাপোল প্রবেশ করে এবং সন্ধ্যার সময় চলে যায়। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভিতর বিএইচ ট্রেডার্স নামে একটি ডিউট ফ্রি শপের পন্য প্রতিদিন এলাকার এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মাদক ব্যাবসায়িরা নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে ২০০/৩০০ শত টাকা বেশী দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে যা”েছ। নিয়ম অনুযায়ি তারা বিক্রি না করে কালোবাজারে ছেড়ে দি”েছ অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায়।

সুত্র জানায়, ডিউট ফ্রি সপের এসব মাদক বিদেশে গমনের সময় একজন পাসপোর্ট যাত্রী নিয়ম অনুযায়ি ১টি করে মাল ক্রয় করতে পারবে। আবার কোন বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশে আসলে তারা ও এই নিয়মে এসব পন্য ক্রয় করতে পারবে। কিন্তু দোকানের মালিক ম্যানেজার এবং কর্মচারীরা এ বিধি লংঘন করে কালোবাজারে মালা মাল ছেড়ে দি”েছ। সুত্র জানায় বিশেষ করে এখানে বিদেশী মদ বাজারের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। যার কারনে মদক ব্যাবসায়িরা এবং মাদক সেবীরা এখান থেকে দোকানদারদের কিছু টাকা বেশী দিয়ে ক্রয় করে এরা নিয়ে খুচরা বিক্রি করে। এসব সুযোগে এখানকার কিছু উঠতি বয়সের ছেলেরা এবং মাদক সেবীরা অল্প মুল্যে মাদক এর বোতল ক্রয় করে সেবন করছে।

পাসপের্ট যাত্রী ছাড়া মাল দেওয়া নিশেধ থাকলে ও বিএইচ ট্রেডার্স ডিউট ফ্রি শপের মালামাল কালোবাজারে ভ্যাট সিক্সটি নাইন, পাসপোর্ট, জেবি সহ বিভন্ন ব্রান্ডের মদ এবং বেনসন,ডানহিল, ইজিলাইট, ইজিগোল্ড সিগারেট সহ অন্যান্য দ্রব্য বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মাঝে মধ্যে বিজিবি এর দুই একটি চালান আটক করলে ও সিংহ ভাগ চলে যা”েছ ধরা ছোয়ার বাইরে।

সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় নিয়ম নিতী উপেক্ষা করে এ সপ থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট ডলার বাদে এবং সাধারন লোকের কাছে ও বংলা টাকায় সিগারেট প্রতি ডলারের মানের চেয়ে ৩০/৪০ টাকা বেশী এবং মদে ২০০/৩০০ টাকা বেশী দামে বিক্রি করছে। এখানে আবার একদল গোপন সংবাদের লোক ও থাকে। এসব পন্য নিয়ে বের হলে তারা বিজিবি অথবা পুলিশকে মোবাইলের মাধ্যমে জানায় দিয়ে আটক করিয়ে দি”েছ বলে একটি সুত্র দাবি করে। তবে এর বেশীর ভাগ পন্য চলে যা”েছ গোয়েন্দা সং¯’ার লোকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

একটি সুত্র জানায় যে মদ এখানে বাংলা টাকায় ১০০০/১২০০ শত টাকায় পাওয়া যায় সে সব মদ ঢাকা  বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। এর ফলে বেশী মুনাফা লাভের আশায় এদেশের কিছু মাদক ব্যাবসায়ি ভারতের পেট্রপোল ও বনগাঁ শহরের লোকদের দিয়ে দোকন থেকে মদ এবং সিগারেট ক্রয় করে   বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে ব্যাবসা করছে।

সুত্র জানায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে পাসপোর্টযাত্রীদের ইডিকার্ড সংগ্রহ করে সেখান থেকে নাম এবং পাসপোর্ট নং দিয়ে পন্য বিক্রির বৈধতা দেখিয়ে দেয়।