রংপুর রাইডার্স এখন পুরোদস্তুর ঢাকা ডাইনামাইটসের সমর্থক। অন্তত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে আট রানের হারের পর শেষ চারে উঠতে খুলনা টাইটান্সের হার কামনা করা ছাড়া উপায় নেই নাঈম ইসলামের দলের। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেই সাকিবদের মুখোমুখি হবে মাহমুদুল্লার খুলনা।
কুমিল্লা ও রংপুর; দুই দলের জন্যই রোববার ছিলো প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ। আগেই শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন ম্লান হয়েছে কুমিল্লার। কিন্তু শেষ দিকে টানা তিন ম্যাচের জয় এমনকি শেষ ম্যাচেও রংপুরের বিপক্ষে জয় নিয়ে সমর্থক ও নিজেদের আক্ষেপই বাড়িয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজারা। মজার ব্যাপার হলো, এই জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলেও গোলমাল বাঁধিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা।
১২ ম্যাচে রংপুরের জয় ছয়টি। খুলনা টাইটান্সও ১১ ম্যাচে ছয়টি জয় নিয়ে রংপুরের পরেই অবস্থান করছে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ঢাকার বিপক্ষে লড়বে তারা। এই ম্যাচের উপরেই নির্ভর করছে তাদের শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন। জিতলে সরাসরি শেষ চারে জায়গা হবে। হারলে বিদায়। সেক্ষেত্রে রানরেটের কারণে কুমিল্লার বিপক্ষে হেরেও পরের রাউণ্ডে জায়গা হবে রংপুরের। অন্যদিকে, ১২ ম্যাচে খুলনা ও রংপুরের সমান ছয় জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী কিংস। রানরেটের কারণেই এগিয়ে তারা।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লার দেওয়া ১৭১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬২ রানেই থেমে যায় আফ্রিদিরা। এদিন ভিক্টোরিয়ান্স বোলারদের কাছে নিয়মিত উইকেট খুইয়েছে রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যানরা। আট উইকেটের মধ্যে আফগান স্পিনার রশিদ খানের ঘুর্ণিতে পরাস্ত হয়েছে রংপুরের তিনজন ব্যাটসম্যান। কোটার চার ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান খরচে এ তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। আরেক বোলার নাবিল সামাদ ৩৫ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এরআগে ব্যাট হাতে রংপুরের আফগান তারকা ওপেনার আহমেদ শাহজাদের করা ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস দারুণ শুরু এনে দেয় রাইডার্সদের। পরবর্তীতে পাকিস্তান দলের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির করা ১৯ বলে ৩৮ রান আর অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের ২২ বলে ৩৮ রান মাশরাফিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিলো। কিন্তু বোলারদের কারণে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিতে সমর্থ হয়েছে ভিক্টোরিয়ান্সরা। শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে থেকে বিদায় নিলো তারা।
প্রথম ইনিংসে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা দুই ওপেনার ইমরুলা কায়েস আর আহমেদ শেহজাদের ব্যাটে পাওয়া ৮৮ রানের জুটিতে ঝোড়ো শুরু পায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে শেহজাদের (৫২) ব্যাট থেকে। এছাড়া দ্বিতীয় উইকেটে ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার মারলন স্যামুয়েলসের ৩০ রানের ইনিংস আরো এগিয়ে দেয় কুমিল্লার দলকে। শেষদিকে আজহার জাইদির ১৭ আর রশিদ খানের করা ১১ রান দলকে ১৭০ রানের ফাইটিং স্কোর এনে দিতে সমর্থ হয়।