পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে ৯ হাজার ৯৬৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন দেশে আটক ও বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আজ সংসদে জাতীয় পার্টির মোঃ নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আটক বাংলাদেশীর মধ্যে
মিয়ানমারে ৫৭ জন, সিঙ্গাপুর ৮৭, নেপাল ১২, যুক্তরাষ্ট্র ২৬, ভারত ২ হাজার ৬৯৭, গ্রীস ১২৩, জাপান ৬৫, থাইল্যান্ড ২৩, পাকিস্তান ১৯, ফ্রান্স ৪৬, যুক্তরাজ্য ২১৮, কাতার ১১২, সৌদি আরব ৭০৩, জর্ডান ৪৭, মিশর ৫, দ. কোরিয়া ১৬, তুরস্ক ৩৬, জর্জিয়া ২৬, কিরগিজস্তান ১, ওমান ১ হাজার ৪৮, দ. আফ্রিকা ৩০, বাহরাইন ৩৭০, লেবানন ২, মালয়েশিয়া ২ হাজার ৪৬৯, চীন ৫, হংকং ২৪, মঙ্গোলিয়া ১, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১ হাজার ৯৮, ব্রুনাই ৫, ইতালি ৫১, ইরাক ১২১, মরিশাস ৭, মেক্সিকো ৯৭, আজারবাইজান ৬, মরক্কো ২, দক্ষিণ আফ্রিকা ১১, ব্রাজিল ১, অস্ট্রেলিয়া ৩৯ ও কুয়েতে ২৬১ জন।
তিনি বলেন, আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকগণ যাতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। মন্ত্রী বলেন, দূতাবাস মুক্তিপ্রাপ্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান করে থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশী নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোন মাধ্যমে সংবাদ পেলে তা যাচাইপূর্বক বাংলাদেশ দূতাবাস সে দেশের কারাগারে আটক বাংলাদেশীর বিষয়ে নিশ্চিত হয় এবং কনস্যুলার একসেস-এর মাধ্যমে তাদের সাথে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সাক্ষাত করে ও প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা প্রদান করে।