দেশের বিভিন্ন জেলার বধ্যভূমিগুলো রয়ে গেছে রক্ষণাবেক্ষণের বাইরে। সরকারি-বেসরকারি কোন পর্যায়েই এই স্থানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
একাত্তরের ২৯ এপ্রিল। নেত্রকোণায় প্রবেশ করে পাক সেনারা। অন্তত ১৬টি স্থানে নির্বিচারে চালায় গণহত্যা। কয়েক হাজার মুক্তিকামী জনতার সাথে একে একে হত্যা করা হয় ডাক্তার মিহির সেন, হেম বাগচী, শিল্পী সিদ্ধার্থ, আইনজীবী অখিল সেন, শিক্ষক কামিনী চক্রবর্তী, এম এ আওয়াল, রফিকুল ইসলাম, সুরুজ আলী, অধ্যাপক আরজ আলীকে।
এত বছরে নামেমাত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে শুধু ত্রিমোহিনী বধ্যভূমি। বাকি ১৫টি সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসপ্রায়।
হবিগঞ্জে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে কিছু কিছু বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হলেও জেলার বধ্যভূমির সঠিক সংখ্যা কারো জানা নেই।
তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করায় ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তিতে বন্ধ হয় ভোলার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ। সে কাজ শুরু হয়নি এখনও।
তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে দ্রুতই বধ্যভূমি সংরক্ষণ উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধারা।