গ্রন্থমেলার পাশাপাশি পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে চার দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭’ শুরু

বাংলা একাডেমি চার দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭’র আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পয়লা ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র পাশাপাশি এ সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শাসমুজ্জামান খান বাসস’কে জানান, আন্তর্জাতিক এ সাহিত্য সম্মেলনে ৮টি দেশের খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় কবি-সাহিত্যিকগণ অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী কবি-সাহিত্যিকরা আসবেন রাশিয়া, চীন, জাপান, অস্ট্রিয়া, জার্মানী, পুয়ের্তোরিকো, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে।
তিনি বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসবেন ১৫ জন কবি ও কথাসাহিত্যিক। তাদের মধ্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক পবিত্র সরকারসহ বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক অংশ নেবেন।
মহাপরিচালক বলেন, অন্যান্য দেশের উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অস্ট্রিয়া থেকে মেনফ্রেড কোবো ও ডেগমার কোবো, জার্মানী থেকে ইকনো বুরঘার্ট ও টোরিয়াস বুরঘার্ট, পুয়ের্তোরিকো থেকে মারিয়া ডি লোস অ্যানজেলেস কামাকো নিভাস, রাফায়েল ফেগুইরো ও লুস মারিয়া লোপেজ, রাশিয়া থেকে ড. ভিক্টর আলেক্সান্ড্রোভিচ, চীন থেকে প্রফেসর ডং ইউ চেন ও ইয়াং উয়ি মিন স্বর্ণা, মালয়েশিয়া থেকে রাজা লিঙ্গম রামাসামি প্রমুখ আসবেন। তারা সকলে নিজ নিজ দেশের খ্যাতিমান কবি ও কথাসাহিত্যিক। এছাড়া বাংলাদেশের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকরাও সম্মেলনে অংশ নেবেন বলেও তিনি জানান।
বাংলা একাডেমির ডিজি আরো বলেন, আর্ন্তজাতিক এ সাহিত্য সম্মেলনে বাংলাদেশের ৬ জন কবি-সাহিত্যিককে সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হবে। তাদের নাম বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকালে সাহিত্য সম্মাননা প্রদান, বিদেশী কবিদের কবিতা পাঠানুষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী কবি-সাহিত্যিকদের আলাপচারিতানুষ্ঠান এবং বিকেল ৩টায় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সভাপতিত্বে কথাসাহিত্য নিয়ে সেমিনার ও সন্ধ্যায় কবিতা পাঠানুষ্ঠান থাকবে।
সম্মেলনের তৃতীয় দিনের কর্মসূচী উল্লেখ করে শামসুজ্জামান খান বলেন, সকাল ১০টায় কবিতা সাহিত্য নিয়ে সেমিনার হবে। এতে দুই বাংলা থেকে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এ সেমিনার সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ চৌধুরী। এদিন বিকাল ৩টায় প্রবন্ধ সাহিত্য নিয়েও একটি সেমিনার হবে। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া তৃতীয় দিন গবেষণা প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সাহিত্য নিয়ে পৃথক আরো তিনটি অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের চতুর্থ দিন অর্থাৎ সমাপনী দিনের কর্মসূচী উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সকালে শিশু সাহিত্য ও নাটক-সাহিত্য এবং বিকালে অনুবাদ সাহিত্য নিয়ে পৃথক ৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় ৩০ জন দেশী-বিদেশী কবির কবিতা পাঠানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *