সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের নৃশংস হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিস সাক্ষ্য দিতে সিলেটের আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে আলোচিত এ হত্যাচেষ্টা মামলার বিচার চলছে। এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান, রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে খাদিজা আদালতে আসেন। আসামি বদরুলকে তার আগেই কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মধ্য দিয়ে এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এর আগে ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। খাদিজাসহ ৩৪ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হবে।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিস্কও জখম হয়। হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হন খাদিজা। শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্কয়ার থেকে তাকে পাঠানো হয় সাভারের সিআরপিতে। সিআরপিতে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার বাড়ি ফেরেন কলেজপড়ুয়া এই তরুণী।